অসুস্থ গোবিন্দ হালদারকে দেখতে গেলেন রাষ্ট্রপতি
কালজয়ী গানের রচয়িতা গোবিন্দ হালদারকে হাসপাতালে গিয়ে দেখা করেছেন ভারত সফররত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। সঙ্গে ছিলেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশনার জকি আহাদ, প্রথম সচিব মোফাকখারুল ইকবাল প্রমুখ।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেওয়ার পর ভারতীয় সময় রাত সাড়ে দশটার দিকে গোবিন্দ হালদারকে দেখতে হাসপাতালে যান রাষ্ট্রপতি।
এ সময় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার দ্রুত আরগ্য কামনার করেন। গোবিন্দ হালদারকে তিনি জানান, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় তার গানই ছিল বাংলাদেশের অন্যতম শক্তি। আপনার কালজয়ী গানের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধে সাহস জুগিয়েছিল, অনুপ্রাণিত করেছিল, যা অবিস্মরণীয়। আমরা এখনো আপনার গান শুনে জীবনযুদ্ধে লড়াই করার অনুপ্রেরণা পাই।’
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথোপকথনের মাঝে অসুস্থ হলেও গোবিন্দ হালদারের মুখ থেকে শোনা গেল সেই সমস্ত হৃদয়ষ্পর্শী গানের বেশ কিছু লাইন। ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা/পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে রক্ত লাল রক্ত লাল’ এর অন্যতম।
এদিন রাষ্ট্রপতি গোবিন্দ হালদারের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি সময় দেন তার পরিবারকেও। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির আগমনে খুশি হয়েছেন গোবিন্দ হালদারের পরিবার।
প্রসঙ্গত, মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় ১৩ ডিসেম্বর গোবিন্দ হালদারকে কলকাতার মানিকতলা জিতেন্দ্র নাথ রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তাকে হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আর্থিক অনটনের কারণে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে পারছেন না তার পরিবার, এমন সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ২০ ডিসেম্বর তার চিকিৎসা খরচ বহনের ঘোষণা দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য, ১৯৩০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁয়ে জন্মগ্রহণ করেন গোবিন্দ হালদার। কিন্তু চাকরিসূত্রে প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে কলকাতায় পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে কলকাতার অনতিদূরে বাগুইহাটিতে বসবাস করছেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।