চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা এলাকায় বেশ কয়েকটি পোল্ট্রি মুরগীর খামারে মড়ক দেখা দিয়েছে। ফলে হাজার হাজার মুরগী মারা যাচ্ছে। এবারের এই মড়ক ঠিক কোন রোগের কারণে বার্ড ফ্লু নাকি রাণীক্ষেত তা তাৎক্ষণিক ভাবে বলতে পারেনি উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান।

এমনকি যে সকল খামারের মুরগি অজ্ঞাত রোগে মারা যাচ্ছে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ সেই খামারগুলোও শনাক্ত করতে পারেনি। ফলে আক্রান্ত পোল্টি খামার থেকে অবাধে জীবাণু ছড়াচ্ছে। এতে করে দর্শনা ও আশে পাশের এলাকার মুরগী খামারীরা তাদের খামারে মড়ক লাগার আতঙ্ক রয়েছে। যেসব মুরগী খামারে মড়কলেগ মুরগী মারা যাচ্ছে রাতের অন্ধকারে সেই সকল খামারী বস্তা ভর্তি করে কেরু কোম্পানীর ফার্মের আখের মধ্যে ফেলে রেখে যাচ্ছে। আর এসব হাজার হাজার মরা মুরগীর দুর্গন্ধে এলাকা দুষিত হয়ে পড়েছে।

জানা যায়, দর্শনা এলাকায় প্রায় অর্ধ শত পোল্ট্রি মুরগীর খামার রয়েছে। অন্যান্য এলাকার চাইতে দর্শনা এলাকার পোল্ট্রি খামারীরা এবার বাজার মোটামুটি ভালো পাওয়ায় তাদের প্রতিষ্ঠান বেশ লাভজনক অবস্থায় রয়েছে। গত চালানের পর চলতি মাসের প্রথম দিকে খামারীরা বড় বড় চালানের মুরগী খামারে তুললে কিছুটা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখতে পায়। অবশেষে ঠাণ্ডাজনিত কারণে নাকি বার্ড ফ্ল ভাইরাস জনিত কারণে খামারের হাজার হাজার মুরগীর মৃত্যু হচ্ছে তা খামারীরা জানতে পারছে না। রাতের অন্ধকারে কেরু কোম্পানীর জমির আখক্ষেতে বস্তায় ভর্তি করে ফেলে যাচ্ছে। এসব মুরগী পচে যেমন এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। সাথে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে তেমনি ভাবে জানা যাচ্ছে না কোন খামার থেকে এতো মুরগীর প্রাণহানি ঘটছে। 

গতকাল রবিবার সন্ধ্যায়  জেলা প্রাণী সম্পদক কর্মকর্তা মোঃ কহিনুর রহমানের নির্দেশে দামুড়হুদা উপজেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং মৃত বেশ কয়েকটি মুরগী সংগ্রহ করেছেন পোষ্ট মোটেমের জন্য। 

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা কহিনুর রহমান জানান, শীতের সময় কোল্ড ফ্লু অথবা রাণীক্ষেত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়। এ কারণে খামারে এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে কিনা তা কয়েকটি মুরগীর উপরে পরীক্ষা চালালে জানা যাবে। কি কারণে মুরগী মারা যাচ্ছে তবে তার আগে কোন খামারে বা কয়টি খামারে এ ধরণের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে সেগুলো সনাক্ত করা দরকার।