- হোম
- >
- কৃষিজ ও প্রাণিজ
- >
- কুয়াশায় বীজতলার ক্ষতি: উদ্বিগ্ন কৃষক
কুয়াশায় বীজতলার ক্ষতি: উদ্বিগ্ন কৃষক
কনকনে শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বোরো বীজতলা। দেশের কিছু অঞ্চলের বীজতলা এরই মধ্যে সবুজ থেকে হলুদ বর্ণ ধারণ করতে শুরু করেছে। এ অবস্থা আরও কিছুদিন স্থায়ী হলে বড় ধরনের আঘাত পড়বে বোরো উৎপাদনে। এ নিয়ে উদ্বেগে চাষিকুল।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে ইতোমধ্যেই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলেও তা তীব্র আকার ধারণ করবে না। উত্তরের জেলাগুলোয় এর তীব্রতা বেশি। তবে এর প্রভাব দুই-এক দিনের বেশি স্থায়ী হবে না। কয়েকটি জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলেও তা তীব্র আকার ধারণ করবে না। তবে জানুয়ারিতে ফের শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৪৭ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর বিপরীতে বীজতলা তৈরির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ হেক্টর জমিতে। এ বীজতলার বিপত্তি হিসেবে দেখা দিয়েছে কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বোরো বীজতলায় কুয়াশা না থাকলে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচের তাপমাত্রাও সহনশীল। কিন্তু কুয়াশা পড়লে চারা হলুদ হয়ে যাবে। এ চারা রোপণ করলে উৎপাদন কমবে। কুয়াশা দীর্ঘ হলে চারা মরেও যেতে পারে। কৃষকরা জানান, রোপণের আগে চারা নষ্ট হয়ে গেলে বড় ধরনের ক্ষতিতে পড়তে হবে তাদের। কারণ এখন নতুনভাবে আর বীজতলা তৈরি করা সম্ভব নয়। ফলে এবার বোরো আবাদের লক্ষ্য পূরণে সংশয় দেখা দেবে।
ডিএইর সদ্যবিদায়ী মহাপরিচালক আব্বাস আলী জানান, এ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে কৃষকদের আগাম বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি, লিফলেট ও স্থানীয়ভাবে মাইকিং করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এ পর্যন্ত কোনো পরিসংখ্যান না এলেও আগেভাগেই কৃষকদের সতর্ক করা হচ্ছে।
শীত থেকে বীজতলা রক্ষায় সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখার পরামর্শ দেন তিনি। আব্বাস আলী বলেন, শৈত্যপ্রবাহ চলাকালীন চারা না তোলাই শ্রেয়। সাধারণভাবে বীজতলায় ৩ থেকে ৫ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে নলকূপের পানিই ভালো। চারা রোপণকালে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলে কয়েক দিন দেরি করে রোপণ করা ভালো। রোপণের পর শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলে ৫ থেকে ৬ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখতে হবে জমিতে।
তিনি জানান, রোপণের ক্ষেত্রে ৩০-৩৫ দিন বয়সি চারাই উত্তম। এগুলোর শীতে মৃত্যুহার কম, সতেজ থাকে আর ফলনও বেশি হয়। চারা হলুদ হলে প্রতিশতক জমিতে ২৫০ গ্রাম ইউরিয়া, এতে কাজ না হলে প্রতি বর্গমিটারে ১০ গ্রাম হারে জিপসাম প্রয়োগ করতে হবে। আর কুয়াশা কেটে গেলে বীজতলায় ছাই ছিটিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।