- হোম
- >
- কৃষিজ ও প্রাণিজ
- >
- ছাতকে গড়বিলে মৎস্য সংগ্রহে ব্যস্ত গড়গাঁও গ্রামবাসী
ছাতকে গড়বিলে মৎস্য সংগ্রহে ব্যস্ত গড়গাঁও গ্রামবাসী
ছাতকের কালারুকা ইউনিয়নের মামদপুর মৌজার ৬৫শতক জলাশয় ঘিরে গড়বিলে মৎস্য সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন গড়গাঁও গ্রামবাসী। গ্রামের কৃষকরা আমন ধান তোলার পাশাপশি বৃহস্পতিবার থেকে নিজেদের মালিকানাধীন বিল ফেরত পেয়ে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সর্বস্তরের অধিবাসীরা মৎস্য সংগ্রহ মেতে উঠেছে। গোবিন্দগঞ্জ-ছাতক সড়কের গড়গাঁও গ্রাম সংলগ্ন এবং ছাতক-সিলেট রেল লাইনের পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত গড়বিল। যুগ যুগ ধরে এ বিলের মাছ আহরণ করে আসছেন স্থানীয় গড়গাঁও গ্রামের অধিবাসীরা। গড়গাঁও গ্রামের নামের সাথে বিলটির নাম গড়বিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর অগ্রহায়ণ মাসের শেষ দিকে জাল দিয়ে পৌষ মাস পর্যন্ত বিলের মৎস্য আহরণ করে থাকে গড়গাঁও গ্রামবাসী। বিভিন্ন সময় এ বিলটি দখলে নিতে স্থানীয় প্রভাবশালীরা অপচেষ্টা চালায়। শেষমেশ বিলটি জোরপূর্বক ভাবে দখলে নিতে পারেনি কেউ, অবৈধরা অবৈধই থেকে যায়। মামলার কারণে এ বছর বিলটিতে মাছ ধরার কোন সুযোগ ছিলনা গ্রামবাসীর।
জোরপূর্বক ভাবে গড়বিল দখল অভিযোগ এনে স্থানীয় তকিপুর গ্রামের রজব আলী বাদী হয়ে গড়গাঁও গ্রামের খুশিদ আলী গংদের বিরুদ্ধে সহকারী জজ আদালত ছাতক সুনামগঞ্জে স্বত্ব মোকদ্দমা নং-(৭৯/১৩ইং) দায়ের করা হয়। মামলায় গড়গাঁও গ্রামবাসীর উপর মৎস্য আহরণে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরে মামলার বিবাদী খুশিদ আলীর পক্ষ ৯ নভেম্বর নিষেধাজ্ঞা বাতিলের জন্য আদালতে দরখাস্ত দাখিল করে। খুশিদ আলীর দরখাস্তের প্রেক্ষিতে ১৭ নভেম্বর আদালত ৭দিনের মধ্যে কারণ দর্শানো সহ আপত্তি দাখিল না করা পর্যন্ত ১-৫ নং-মামলার বাদী রজব আলী, খোয়াজ আলী, জুবেদ আলী, আবদুস ছোবহান ও আবদুস ছমাদের বিরুদ্ধে অন্তবর্তী কালীন নিষেধাজ্ঞা আদেশ প্রদান করেন।
এতে গড়গাঁও গ্রামবাসীরা বৃহস্পতিবার থেকে জাল দিয়ে গড়বিলে মৎস্য ধরা শুরু করছেন।
এ ব্যাপারে গড়গাঁও গ্রামের ছালেক আহমদ, সুয়েব আহমদ, আবদুর রহিম, খুশিদ আলী, আবদুল খালিক, মখলিছ মিয়া, মাওলানা আমির আলী জানান, এর আগে ২০১০ সালে এ বিলটি নিজেদের মালিকানা দাবি করে জবরদখলের অপচেষ্টা করে মোশাহিদ আলী ঠান্ডা। এ বিষয়ে গড়গাঁও গ্রামবাসীর পক্ষে আছাব আলী ছাতক থানায় একটি জিডি করেছিলেন।
জিডির প্রেক্ষিতে থানার ওসি বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষে স্থানীয় তকিপুর গ্রামের আছলম আলীর বাড়িতে আবরু মিয়া তালুকদারের সভাপতিত্বে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, কালারুকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল হক, আছলম আলী, আজিজুল হক মেম্বার, ইসমাঈল মেম্বারসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠিত বৈঠকে উভয় পক্ষের কাগজপত্র ব্যাপক যাচাইবাচাই শেষে সালিশ বৈঠকে গড়গাঁও গ্রামবাসির পক্ষে রায় ঘোষণা করা হয়। পরে মোশাহিদ আলী ঠান্ডা থানায় অঙ্গিকার নামায় স্বাক্ষর প্রদান করেন বলে ছালেক আহমদরা জানিয়েছেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।