লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহাকান্দী ইউনিয়নের খাজুরতলী গ্রামের এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে সদর থানা পুলিশ মো: আরিফ হোসেন (২৮) ও জাহাঙ্গীর আলম (২২) কে আটক করে। আরিফ খাজুরতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়ন। 

এ ঘটনায় ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে (১০ই ডিসেম্বর) বুধবার ৪ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হল সদর উপজেলার খেজুরতলী গ্রামের রফিকুলের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন, একই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আরিফ হোসেন, আব্দুল করিমের ছেলে আনোয়ার হোসেন ও চরমনসা গ্রামের খাঁন বাড়ির আব্দুল জলিলের ছেলে মোঃ রিয়াজ হোসেন।   

ভিকটিমের মা মর্জিনা বেগম জানান, গত ২৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে ভবাণীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে রিয়াজ হোসেনের সাথে দীর্ঘদিন থেকে প্রেমের সম্পর্ক থাকার সুবাধে খাজুরতলী গ্রামের কিশোরীকে (১৬) কে কৌশলে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে সিনেমা দেখে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে ওই গ্রামের আমজাদ পাটাওয়ারী বাড়ীর সেকান্দর আলীর পরিত্যক্ত ঘরে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। 

এ ঘটনা দামাচাপা দিয়ে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টি মিমাংসা আশ্বাস দিয়ে টালবাহানা শুরু করলে স্থানীয় এলাকাবাসী পুরাতন তেওয়ারীগঞ্জ বাজার থেকে মঙ্গলবার রাতে মো: আরিফ কে আটক করে। পরে সদর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ আরিফকে ও পরে অভিযান চালিয়ে জাহাঙ্গীর আলম কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ইকবাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে আটক ২ জনসহ ৪ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছে। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।

এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোঃ আরজু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার দায়ের করা হয়েছে। তদন্তের আলোতে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং বাকী আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যহত রয়েছে।