হাড় চিড়চিড়ে শরীর নিয়ে মাঠে চাষ করেন হরিপদ কাপালী। বয়স হবে ৭০ এর কাছাকাছি। তার ক্ষেতের ইরি ধানের মধ্য থেকে উদ্ভাবন করলেন একটি উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান। নাম না জানা এই ধানের নাম দেওয়া হলো হরি ধান।

সাংবাদিক আসিফ ইকবাল বদৌলতে পত্রিকা ও টিভিতে উঠে আসে সেই ধান উদ্ভাবনের চমকপ্রদ কাহিনী। হিরো বনে যান জাত কৃষক হরিপদ কাপালী। চ্যানেল আই এর বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ হরিপদকে নিয়ে এক ঘন্টার প্রতিবেদন প্রচার করেন চ্যানেল আইতে। দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে হরি ধানের সুখ্যাতি। সুনাম আর সম্বর্ধনা পেতে থাকেন হরিপদ। স্কুলের পাঠ্য বইয়ে নাম লেখা হয় হরিপদের। সেই সাথে তার জরাজীর্ণ বাড়িটি দেখতে দেখতে দালানে পরিণত হয়। হরিপদর বাড়ি যাওয়ার রাস্তাটিও পাকা করা হয়। সেই হরিপদ এখনো মাঠেই পড়ে থাকেন। মাটির সঙ্গে যার মমত্ববোধ সে কি কখনো মাটির ঘ্রাণ নেওয়া ছাড়তে পারে। দীর্ঘজীবী হও হরিপদ কাপালী।

দক্ষিণাঞ্চলে সাড়া জাগানো হরি ধানের উদ্ভাবক ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটী ইউনিয়নের জাত কৃষক হরিপদ কাপালীর সঙ্গে দেখা হতেই আক্ষেপ করে জানালেন তার এক অনুভুতির কথা। সেটি হলো দিন কয়েক আগে বিশ্বব্যাংক থেকে তাকে সম্বর্ধনার প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু সে সময় তার শরীর খারাপ ছিল। মোবাইলে জানালেন 'তাইতো বাপু আমার শরীরটা ভাল না' এমন কথা মুখেই আছে, আর অমনি ফোনটি কেটে গেল। তার আক্ষেপ যদি শরীর খারাপের কথা তিনি না বলতেন তাহলে হয়তো তিনি বিশ্বব্যাংকের ডাকে সাড়া দিয়ে ঢাকায় যেতে পারতেন। কিন্তু তার আফসোস!! আবার যদি বিশ্বব্যাংক তাকে ফোন করতো।