অবশেষে মিলল সেই আনন্দঘন মুহূর্ত।  চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে ১৮৬ রানে হারিয়েছে মুশফিক বাহিনী। সেই সাথে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে প্রতিপক্ষকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ এর লজ্জা উপহার দিল স্বাগতিকরা।

তৃতীয় টেস্টে বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেয়া ৪৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জিম্বাবুয়ে টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে অর্থাৎ, শনিবার দিন শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯ ওভার ব্যাট করে ১ উইকেট হারিয়ে ৭১ রান সংগ্রহ করে। তখন জয়ের জন্য অবশিষ্ট ৯ উইকেটে টেস্টের শেষ দিনে ৩৭৮ রান দরকার ছিল জিম্বাবুয়ের। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের দরকার নয়টি উইকেট। এরপরও রবিবার টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনে আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (২৬) ও সিকান্দার রাজা (৪৬) দুলঙ্ঘ্য হিমালয় পাড়ি দেয়ার পণ করে উইকেটে নামেন।

অবশ্য তাদের পণ শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি।  নতুন দিনের শুরুতেই ফিরে যান অভিজ্ঞ মাসাকাদজা (৩৮)। ২৬.৩ ওভারে দলীয় ৯৭ রানে শুভাগত হোমের শিকার হন তিনি। ৩১তম ওভারে গিয়ে হুমকি হয়ে ওঠা সিকান্দার রাজাও ‘পার্টটাইম’ বোলার হোমেরই শিকার। তারপরই পর্দায় আর্বিভাব তরুণ স্পিনার জোবায়ের হোসেনের। ১৪ রানের ব্যবধানে তার শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ব্রেন্ডন টেলর (২৪) ও এলটন চিগম্বুরা (৯৫)। ষষ্ঠ উইকেটে গিয়ে দৃশ্যপটের পরিবর্তন আসে।

জিম্বাবুয়ে শেষ স্বীকৃত জুটি হিসেবে বাংলাদেশের জয়ের পথে বাধা সৃষ্টি করেন রেজিস চাকাভা ও ক্রেইগ আরভিন। এই জুটি ভাঙে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হাতে। তখন স্বস্তির সুবাতাস গোটা জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। কিন্তু  অস্টম উইকেট জুটিতে গিয়ে পানিয়াঙ্গারাকে নিয়ে বাংলাদেশকে ভালোই জ্বালায় চাকাভা। শেষে পেসার রুবেল হোসেনে পরিত্রাণ। পরে টাইগারদের জয়ের জন্য বাকি আনুষ্ঠানিকতাটুকু সারেন শফিউল ইসলাম।

দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে অম্লান হয়ে থাকতে জিম্বাবুয়ের লেজকে কেটে দেন বাংলাদেশের ক্ষীণদেহী এই পেসার। আর নাম লেখান দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অভিজাত এক ক্লাবে। জিম্বাবুয়ে চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬২ রান করে অলআউট হয়। ৮৫ ওভার ব্যাট করে তারা। বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম, জুবায়ের হোসেন ও শুভাগত হোম।

ম্যাচ সেরা হয়েছেন মমিনুল হক, সিরিজ সেরা সাকিব আল হাসান এবং সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন তাইজুল ইসলাম।