পাঁচবিবিতে শিলভদ্রের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বারকান্দ্রী সুকুমার সিং বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ শিলভদ্রের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠানে শিলভদ্রথের গ্রামের উন্নয়ন, ছাত্র ছাত্রীদের লেখাপড়া, ধর্মপ্রচার ও চাকুরীর নামে মুখোরচক কথা বলে অনগ্রসর ও অশিক্ষিত আদিবাসীদের আকৃষ্ট করে। দারিদ্র আদিবাসীরা তার কথায় মুগ্ধ হয়ে শিলভদ্রের হাতে ৩৫-৪০ হাজার টাকা করে তুলে দেয়।
বিনিময়ে (৫ম শ্রেনীপাস) শিশু সন্তানদের শিলাভদ্র থ্যাইল্যাণ্ডে নিয়ে যায়। তারপর ওই সব শিশুদের বিভিন্ন আস্তানায় নিয়ে গিয়ে রাখা হয়। পরে তারা শিশুদের দিয়ে সকাল বেলা নিন্দাচরণে পাঠায়। নিন্দাচরণে গিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে দান দক্ষিণা পায় শিশুরা। প্রতি বছর এক বার থাইল্যাণ্ডে গিয়ে শিলভদ্রথের শিশুদের কাছ থেকে ওই দান দক্ষিণার টাকা পয়সা নিয়ে পুণরায় বাংলাদেশে ফিরে আসেন। টাকা না দিলে শিশুদের উপর নির্যাতন চালাতো।
শিলভদ্রথের থাইল্যাণ্ডে থেকে পালিয়ে আসা শিশুদের মধ্যে রণজিৎ বলেন, শিলভদ্রথের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ২০০৯ সালের ৬ ডিসেম্বর তাকে সহ ৮ জন শিশুকে থাইল্যাণ্ডে নিয়ে যায়। ৫ বছরেরও প্রতিশ্রুটির কোন কিছু বাস্তবায়ন হয়নি। থাইল্যাণ্ডে তাদের দিয়ে দান দক্ষিণার টাকা তোলা হতো। সেই টাকা শিলভদ্রথের বছরে ১ বার থাইল্যাণ্ডে গিয়ে টাকা নিয়ে আসতো, না দিলে মারপিট করতো।
রঞ্জিত আরো বলেন, তারা আমার ৫ম শ্রেণীর সার্টিফিকেট পুড়িয়ে দিয়েছে।
উপজেলার বারকান্দ্রী গ্রামের মিলন জানান, শিলভদ্রথের আমাকেও থাইল্যাণ্ডে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি যাইনি। তারা আমার ভাতিজা ওপেনের দুই ছেলে নিতাই ও গেীরকে নিয়ে যায়। থাইল্যাণ্ডে তাদের অবস্থা এখন ভালো নয়। তারা দেশে ফিরতে চায় কিন্তু ফিরতে পারছেনা, সন্তান বাইরে থাকায় সন্তানের ক্ষতির কথা চিন্তা করে তার পিতা ওপেন ভয়ে মুখ খুলতে পারেন না। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। গত কয়েক দিন পূর্বে বারকান্দ্রী আদিবাসী তরুন সংঘের ছেলেরা এর প্রতিবাদ করে। এক পর্যায়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে শিলভদ্রের অনুগত কমল সামান্য আহত হয়। এই ঘটনা কে পুঁজি করে শিলভদ্রথের বিরুদ্ধে যারা কথা বলেন এরকম ৭ জনের নামে গাছ কাটার একটি মিথ্যা মামলা দেয়।
গতকাল শুক্রবার শিলভদ্রথের, সুনান্দ প্রিয়থের পাঁচবিবি থানায় তাদের অনুগত অ্যাডঃ বাবুল রবিদাসকে নিয়ে মামলার তদবিরের জন্য আসে। খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা এসে এসব বিষয়ে তাদের কাছে বক্তব্য জানতে চাইলে তারা সাংবাদিকদের সাথে চরম দু’ব্যবহার করে। এক পর্যায়ে সাংবাদিকতা পেশা নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করে এবং হেড অফিসে বলে সাংবাদিকতা থেকে বহিস্কার করাবেন মর্মে হুমকি দেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।