মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির অভিযোগে যুগ্ম-সচিব কাসেম চাকরিচ্যুত
মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে যুগ্ম-সচিব আবুল কাসেম তালুকদারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। গত ৯নভেম্বর আদেশের মাধ্যমে আবুল কাসেমকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে তিনি মুক্তিযুদ্ধে বিদেশিদের বিশেষ অবদানের সম্মাননা ক্রেস্টে স্বর্ণ জালিয়াতির ঘটনায় ওএসডি হন। আবুল কাসেমের চাকরির মেয়াদ ছিল ২০১৮ সাল পর্যন্ত।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, আবুল কাসেম তালুকদারের চাকরির সময় ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় সরকার ‘জনস্বার্থে’ তাকে অবসর দেওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করছে। সরকারি কর্মচারী আইন ১৯৭৪ এর ৯(২) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার তাকে চাকরী থেকে অব্যাহতি প্রদান করে। সরকারি চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও আবুল কাসেম বিধি অনুযায়ী অবসর সুবিধা পাবেন।দুর্নীতি দমন কমিশনের সুপারিশে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত ২২ সেপ্টেম্বর যুগ্ম-সচিব আবুল কাসেম এবং তিন সচিবের মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও গেজেট বাতিল করে।
অন্যরা হলেন- স্বাস্থ্য সচিব নিয়াজ উদ্দিন মিয়া, সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সচিব একেএম আমির হোসেন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কেএইচ মাসুদ সিদ্দিকী।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।