পুলিশী গণগ্রেপ্তার আতঙ্কে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের কাকিনা মহিষামুড়ি গ্রাম পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে। বুধবার দুপুরে মহিষামুড়ি সাহেব বাজার চারমাথা এলাকায় গণগ্রেপ্তার বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও মানবন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

এসময় কাকিনা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মহিষামুড়ি এলাকার ইউপি সদস্য আব্দুস সবুর সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখত বক্তব্যে তিনি বলেন, পাশ্ববর্তী রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার কোলকুণ্ডা ইউনিয়নের বিনবিনিয়া চড়ে প্রতিরাতে অশ্লীন নৃত্য ও জুয়ার আসর বসত।৬ নভেম্বর রাতে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ওই জুয়ার আসরে অভিযান চালালে জুয়াড়িদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। এতে পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন আহত হয়।এ ঘটনায় পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে মহিষামুড়ি গ্রামের পথচারী ও ঘুমান্ত নিরীহ ২০জন মানুষকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন এ গ্রামের ৩৮ জনসহ অজ্ঞাতনামা ২৫০জনকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ অস্ত্র ও জুয়া আইনে দু’টি মামলা দায়ের করে।

এ মামলায় প্রতিরাতে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ গণগ্রেপ্তারের নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানী করছে এবং গ্রেপ্তার এড়াতে গ্রাম পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে বলে সংবাদ সম্মেলে দাবি করেন এলাকাবাসী। গ্রাম পুরুষ শুন্য হওয়ায় উঠতি আমন ধান ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে ঘরে তুলতে পারছে না কৃষকরা।

সংবাদ সম্মেলন শেষে জুডিশিয়াল তদন্তের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা দুটি প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ শতশত এলাকাবাসী মানবন্ধন ও বিক্ষভ মিছিল করে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কাকিনা ইউপি’র ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য জানে আলম বুলু, ২নং ওয়ার্ড সদস্য মোবারক হোসেন এবং বাবুর আলীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।