আলোকিত দীঘিনালার তিন গ্রাম
ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পানীর একটি সহযোগী সংস্থার সহায়তায় খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার তিনটি গ্রাম এখন সৌর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত।উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের মেরুং পাড়া, হাজাছড়া ও লম্বাছড়া এলাকার জালবান্দাছড়া তিন গ্রামের প্রায় ৪শ’ পরিবার এই সৌর বিদ্যুতের সুবিধা ভোগ করছে। সম্পূর্ণ বিনা খরচে বিদ্যুতরে ব্যবস্থা করে দেওয়ায় তিন গ্রামের পরিবারগুলো ঘর এখন আলোকিত।সরেজমিনে গ্রামগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি বাড়ির ছাদেই সৌর বিদ্যুতের প্যানেল রয়েছে। মেরুং পাড়ায় গিয়ে দেখা গেছে গ্রামটির ১২৫ পরিবারের মধ্যে ১১৬ পরিবারের ঘরেই রয়েছে সৌর বিদ্যুতের আলো।মেরুং পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সুরেশ চাকমা ও কালাধন চাকমা জানান, তাদের গ্রামটিতে এখন রাতভর আলো জ্বলে; বিদ্যুৎ যায়না। এখানে তারা সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে গরমে ফ্যানও চালায়।গ্রামের স্থানীয় স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী লিজা চাকমা, জোসনা চাকমা ও আদেয়া চাকমা জানায়, সৌর বিদ্যুতের আলো পাওয়ার পর পড়া-লেখার আর অসুবিধে হয়না তাদের। বিদ্যুতের আলোয় নিয়মিত পড়তে পারছে তারা।হাজাছড়া গ্রামের তামাক চাষি মো. কামাল হোসেন ও ছেলে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র মো. রিয়ন জানায়, কারেন্ট না থাকায় কেরোসিনের কুপি দিয়ে অনেক কষ্ট করে পড়তে হত। এখন সোলারের কারেন্ট হওয়ায় পড়তে আর কষ্ট হয় না।মেরুং ইউপি চেয়ারম্যান মো.মোশাররফ হোসেন জানান, মেরুং পাড়া গ্রাম ছাড়াও হাজাছড়া গ্রামের প্রায় ১৬৯ পরিবার এবং জালাবান্দা গ্রামের ১৬৫ পরিবারকে বিনা খরচে সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দিয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পানী। গ্রামগুলোতে সৌর বিদ্যুতের আলো থাকায় বিদ্যুতের ওপর বাড়তি চাপ কমেছে এবং পরিবারগুলো অনেক সুবিধা পাচ্ছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।