খাদ্যমন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত দেশকে পাকিস্তানের মতো অকার্যকর রাষ্টে পরিনিত করার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসে বাক সন্ত্রাসের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে এ ষড়যন্ত্র করছে।

তিনি আরো বলেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মতো ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি আজ সকালে রাজধানীর শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আছিয়া আলী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা মেজর আব্দুল গণি’র ৫৮ তম মুত্যু দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

আছিয়া আলী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ক্যান্সার বিশেষঞ্জ ডা. এম এ হাশেমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দী, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (এমসিএইচ-সার্ভিসেস) ডা. মোহাম্মদ শরীফ।এডভোকেট কামরুল বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর যেভাবে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছেন তা দেখে মনে হয় তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ করলেন তাদের সাথে তার এত তাড়াতাড়ি আপোষ নানা প্রশ্নের জম্ম দেয়। তাই ১৯৭৫ সালের পরবর্তী তার ভ’মিকায় বুঝা যায় সে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধ ছিলনা। পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের এজেন্ট হিসেবে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিলেন।

তিনি আরো বলেন, জিয়ার এ ধরনের কর্মকান্ডের জন্য তার বীরউত্তম খেতাব কেড়ে নেয়া উচিত।মেজর আব্দুল গণি’র স্মৃতিচারণ করে কামরুল বলেন, মেজর আব্দুল গণি’র নেতৃত্বে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কাছে ওয়ারলেস মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষনা পত্র পাঠিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, এ রেজিমেন্ট সর্বপ্রথম পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল। তার জন্য পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ২৫ মার্চ রাতে প্রথমে এ রেজিমেন্টের ওপর হামলা চালিয়েছিল।

তিনি মেজর আব্দুল গণি’র ব্যক্তিত্বে প্রশংসা করে বলেন, পাকিস্তানের সাবেক স্বৈরশাসক আইয়ূব খান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জিওসি থাকা অবস্থায় উর্দুকে সামরিক বাহিনীর ভাষা করার প্রস্তাব করেছিলেন।

তিনি এ বিষয়ে আরো বলেন, মেজর গণি আইয়ুব খানের এ অন্যায় প্রস্তাবের প্রতিবাদ করেছিলেন। সামরিক বাহিনীতে চাকুরী করে সিনিয়র অফিসারের প্রস্তাবের বিরোধীতা করা তার অগাধ দেশপ্রেমের জন্যই সম্ভব হয়েছিল।