সাতক্ষীরায় উপাধ্যক্ষ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
জালিয়াতির মাধ্যমে একজন বির্তকিত ব্যক্তিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারী বিভাগের অধাপক ডাঃ সহিদুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে এক লিখিত বক্তব্যে ডাঃ সহিদুর রহমান বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের স্বরণে দীর্ঘ ২০ বছর আগে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশহদা এলাকায় শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। শুরুতেই প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস করার প্রক্রিয়া শুরু হয় যা এলাকাবসী সাহসিকতার সাথে মোকাবেলা করে। তবে ষড়যন্ত্রকারিরা থেমে নেই। তারা এখনও তাদের সেই প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্পূর্ন নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গত ১ নভেম্বর-১৪ তারিখে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের অফিসে নিয়োগ বোর্ড বসিয়ে ফজলুর রহমানের মত একজন বির্তকিত লোককে কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৩ সালের ১১ অক্টোবর ফজলুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। পরে দায়িত্ব পালনে অবহেলা, কলেজ পরিচালনা পরিষদের আদেশ অমান্য করাসহ কলেজের তহবিল তসরুফের অভিযোগে তাকে ওই বছরের ৯ নভেম্বর সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, নিয়োগ বোর্ড সাধারনত কলেজ ক্যাম্পাসে হয়ে থাকে। উপজেলা পরিষদের অফিসে এধরনের নিয়োগ বোর্ড হওয়ার কোন নজির নেই। নিয়োগ বোর্ডে ৮ জন প্রার্থী অংশ গ্রহণ করলেও ফজলুর রহমানকে প্রথম করা হয়েছে। তাকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য গত বছর ২০ নভেম্বর ১২ জনের উপস্থিতি দেখিয়ে কলেজ পরিচালানা পরিষদের একটি সভা করে রেজুলেশন করা হয়েছে। অথচ ওই সভায় ২ জন উপস্থিত ছিলেন না এবং ৫ জন ছিলেন অবৈধ সদস্য। এছাড়া ১ নভেম্বরের নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত ৫ জন সদস্যের মধ্যে ২ জন ছিলেন অবৈধ। উপাধ্যক্ষ পদে ফজলুর রহমানের অবৈধ নিয়োগ বৈধতা দেওয়ার জন্য গত ২ নভেম্বর একটি সভা দেখানো হয়েছে যেটি কলেজে অনুষ্ঠিত হয়নি। অবৈধ ভাবে দায়িত্ব পালনকারি সভাপতি আব্দুস সোবাহানের বাড়িতে বসে রেজুলেশন লিখে সদস্যদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে। সাত দিনের নোটিশে সভা আহবান করার নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি। অবৈধ ভাবে টাকা উপার্জনের জন্য সভাপিত পরিকল্পিত ভাবে উপাধ্যক্ষ পদে ফজলুর রহমানকে নিয়োগ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরনে প্রতিষ্ঠিত কলেজটি আজ ধ্বংপ্রায়। ১৯৯৪ থেকে ৯৭ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির যে টুকু উন্নয়ন করেছিলাম সেখানেই থমকে আছে। কলেজে কারনে পাঁচটি মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। কতিপয় দুষ্কৃতিকারীর চক্রান্তে কলেজটি ধ্বংস হতে বসেছে। তিনি প্রতিষ্ঠানের স্বর্থে উপাধ্যক্ষ পদে ফজলুর রহমান এর অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবি জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মমিনুর রহমান, মো: আব্দুল্লাহ, আজিজুল হক, হাবিবুর ইসলাম ও আব্দুল বারী, আকরামুল ইসলাম।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।