পঞ্চগড়ে ৭ম শ্রেণীর ছাত্র অভিজ্ঞতা ছাড়া ডাক্তার
শিক্ষা অর্জন করে একজন ছাত্র যখন হবে দেশ প্রেমিক নাগরিক, আজ সেখানে অভাবের তাড়ণায় বই-খাতা, কলমের পরিবর্তে দেখা যায় পরিবারের খরচ যোগাতে মফাজ্জল (১৩) ঔষধের পোটলা নিয়ে ঘুরছে হাটে বাজারে।
৭ম শ্রেণির ছাত্র মফাজ্জল (১৩) এখন মেধার লড়াইয়ের পরিবর্তে টাকা উপার্জনের জন্য ঔষধ বিক্রি করে উপার্জন করছে। এর মূল কারণ দারিদ্রতা, একদিকে যেমন অভিজ্ঞতা ছাড়া ঔষধ বিক্রি সাধারণ মানুষের জীবনে ডেকে আনছে ভয়াবহতা, আরেকদিকে মফাজ্জলের জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শিক্ষা অর্জনের কাঙ্খিত সময় টুকু।
সরেজমিনে, পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের গিতালগছ ডুংডুঙ্গী হাটে গিয়ে দেখা যায় ছালা বিছিয়ে কুপি জ্বালিয়ে ঔষদের পাতা ছিটিয়ে বসে আছে ক্ষুদে ডাক্তার। সন্ধা ৭টা ৩০ মিনিট সংবাদ সংগ্রহের কাজে এ হাটের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ছোট হাট দেখে এক কাপ চা খাওয়ার ইচ্ছে জাগে। চোখে পড়ে ছোট এই ক্ষুদে শিক্ষার্থী/ডাক্তারকে। কাছে গিয়ে জানা যায় বিস্তারিত।
সে তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের গিতালগছ গ্রামের জয়নুল হকের পুত্র এবং গিতালগছ দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্র।
মফাজ্জল (১৩) জানায়, তার নিজস্ব কোন অভিজ্ঞতা নেই। বাবা ও ভাইয়ের ঔষধ বিক্রি দেখে সে নিজেই আজ ডাক্তার। পার্শপ্রতিক্রিয়া ও এন্টিবায়োটিক সম্পর্কে নেই কোন অভিজ্ঞতা। পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে লেখাপড়া বাদ দিয়ে ঔষধ বিক্রি করছেন। সরকারি বা বে-সরকারি ভাবে কোন সহায়তা পেলে এ পেশা ছেড়ে দেবেন। তবে তার চোখে-মুখে শিক্ষা অর্জন করে বড় এক ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে। কিন্তু টাকা নেই বলে তিনি ডাক্তার হতে পারবেন কি না তার জানে নেই। তবুও শিক্ষা অর্জন করে ডাক্তার হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন জীবন যুদ্ধে সপ্ন পূরণের আশায় মফাজ্জল।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।