ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর জঙ্গি দমনে ইরাকে আরো প্রায় দেড় হাজারের বেশি সেনা পাঠাচ্ছে ওয়াশিংটন। শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ সেনা পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছেন বলে পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগন।

২০০৩ সালে ইরাকে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বাহিনী। দেশটির তৎকালীন শাসক সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতাচ্যুত ও ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর ২০১১ সালে দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র।

চলতি বছরের প্রথমদিকে আইএস জঙ্গি দমনের কথা বলে ইরাকে প্রায় দুই হাজার সামরিক বিশেষজ্ঞ, বিমানসহ মারাত্মক যুদ্ধাস্ত্র পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর এখন আবার নতুন করে দেশটিতে আরো সেনা পাঠানোয় যুক্তরাষ্ট্র ধীরে ধীরে ইরাকে আরেকটি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। শুক্রবার মার্কিন সামরিক দপ্তর পেন্টাগন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ সেনারা ইরাকের সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা করবে। তাদের দাবি, ইরাকে আগে সেনা পাঠানোয় তার সুফল পেতে শুরু করেছে দেশটি। আর সেই ধারাবাহিকতায় ইরাক সরকারের অনুরোধে নতুন করে দেশটিতে সেনা পাঠানো সিদ্ধান্ত নেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। ইরাকি সেনাবাহিনীকে সহায়তা দিতে শিগগিরই দেশটিতে যাবে সামরিক বিশেষজ্ঞ ও অতিরিক্ত সেনাদের নিয়ে গঠিত বিশেষ দলটি। সাতটি ইরাকি সেনা ও দেশটির স্ব-শাসিত পেসমার্গা বাহিনীর তিনটি ব্রিগেড অন্তর্ভূক্ত করা হবে এ সেনাদের।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জোশ আর্নেস্ট শুক্রবার সাংবাদিকদের জানান, ইরাকের যুদ্ধক্ষেত্রে আমাদের মিত্রদের শক্তিশালী করতে আরো ১৫০০ সেনা পাঠানোর  জন্য আজ (শুক্রবার) অনুমোদন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। ওই সেনারা কুর্দি বাহিনীসহ ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীকে সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করবে। তবে তারা সরাসরি যুদ্ধে জড়াবে না বলে দাবি করেন তিনি।

ইরাকে নতুন মার্কিন সেনা মোতায়েনের মধ্য দিয়ে দেশটিতে এ সেনা সংখ্যা দ্বিগুণ হবে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বিশাল সেনা ও যুদ্ধাস্ত্র পাঠানো মাধ্যমে ওবামা তার পূর্বসূরিদের পদাঙ্কই অনুসরণ করলেন। ইরাকে এ সেনা পাঠানো নতুন আরেকটি যুদ্ধে জড়ানো শামিল।

খিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল অংশ দখলে রেখেছে আইএস। আর তাদের রুখতে বিশ্ব সম্প্রদায় একজোট হয়ে সিরিয়া ও ইরাকে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।