ইউনিয়ন পরিষদে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে গণধর্ষণ
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার দশকিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের ভিতরে বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণ করেছে ওই পরিষদেরই নির্বাচিত ৩ সদস্য।
ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে কালিহাতী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
শুক্রবার সকালে পুলিশ এ ঘটনায় সহায়তা করার অভিযোগে ফজিলা বেগম নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে।
এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, দশকিয়া ইউনিয়নের ঢোলকান গ্রামের লাল মিয়ার স্ত্রী ফজিলা বেগম (২৮) ২৮ অক্টোবর দুপুরে প্রতিবেশী মৃত মকবুলের হত দরিদ্র বাক প্রতিবন্ধী মেয়েকে সাথে নিয়ে জন্ম নিবন্ধন সনদ আনতে ইউনিয়ন পরিষদে যান। ফজিলা বেগমের সহায়তায় গ্রাম পুলিশ কৃষ্ণ চন্দ্র দাস ওই প্রতিবন্ধী মেয়েকে পরিষদের হলরুমে ডেকে নেয়।
পরে ফজিলা বেগম ৬নং ওয়ার্ডের আব্দুল আজিজ, ৪নং ওয়ার্ডের কোরবান আলী, ২নং ওয়ার্ডের সদস্য শাজাহান মিয়া ও ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য শহিদুল ইসলামের সাথে কথা বলে পরিষদের হলরুমে ঢুকিয়ে দেন এবং ৪ ইউপি সদস্য বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ কৃষ্ণ চন্দ্র দাস দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে পাহাড়া দেয়।
ধর্ষণের পর মেয়েটিকে ৩০০ টাকা হাতে দিয়ে বিদায় করে দেয়া হয়। কাউকে কিছু বললে খুন করার হুমকি দেয়া হয়।
বিষয়টি জানাজানি হলে ধামাচাপা দেয়ার জন্য উল্লেখিত ধর্ষক ইউপি সদস্যরা স্থানীয় মাতব্বর আ. জলিলকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে তৎপর হয়ে ওঠে।
৬ অক্টোবর ধর্ষিতার মা আছমা ধর্ষক ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ, কোরবান আলী, শাজাহান মিয়া ও ফজিলা বেগমকে অভিযুক্ত করে রাতে কালিহাতী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর শুক্রবার সকালে পুলিশ ফজিলা বেগমকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।
দশকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তিনি ঢাকায় থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘটনাটি শুনেছেন।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি-তদন্ত) মাহবুবুল হক জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মামলা দায়ের করার পর দালাল মহিলা ফজিলা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।