স্বাধীনতাবিরোধী ও ঘাতক দালালদের বিষদাঁত ভেঙ্গে দিতে হবে : কামরুল
খাদ্যমন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, জঙ্গিবাদের জনক তারেক জিয়ার বাবা মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী জিয়াউর রহমান কারাগারে আটক ১১ হাজার দালালকে ছেড়ে দিয়েছিলেন ।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে জিয়াউর রহমান পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন পদে পুনর্বাসন করেছেন ও দেশ-বিদেশে ’৭৫-এর ঘাতকদের চাকুরী দিয়েছেন।
আজ সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ’৭৫-এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত এক সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস পালন উপলক্ষে ’৭৫-এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আহবায়ক ফারুক আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সেক্টর কমান্ডার শহীদ খালেদ মোশাররফের কন্যা মেহজাবীন খালেদ এমপি, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক এম এ করিম প্রমুখ।
এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়াউর রহমানের আসল চেহারা জাতির সামনে উন্মোচন হয়।
তিনি বলেন, আইএসআই-এর এজেন্ট হিসেবে জিয়া পাকিস্তানীদের খুশি করতে বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চারনেতার খুনিদের পুরস্কৃত করেছিলেন এবং এ হত্যাকাণ্ডের যাতে বিচার হতে না পারে, তার জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন।
ক্ষমতায় থাকার জন্য জিয়াউর রহমান হাজার মুক্তিযোদ্ধা হত্যা করেছিলেন বলে উল্লেখ করে কামরুল ইসলাম বলেন, এ জন্যে অবশ্যই তার বিচার হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, আইএসআইয়ের এজেন্ট হিসেবে জিয়া মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন বলেই খালেদ মোশাররফ ও কর্নেল তাহেরসহ হাজার মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিলেন। ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পরবর্তী সময়ে জিয়া ও তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান গোলাম আযমকে দেশে এনেছিলেন এবং শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন। বর্তমানে তারই ধারাবাহিকতায় বিদেশে বসে তাদের পুত্র তারেক জিয়াও আজ একই ভাষায় বক্তব্য দিয়ে জনমনে বিক্ষোভের সৃষ্টি করছেন।
ক্ষমতায় থাকাকালে হাওয়া ভবনে বসে তারেক জিয়া জঙ্গিবাদের জন্ম দিয়েছিলেন। আজ ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও জঙ্গিবাদের আস্তানার সন্ধান মিলেছে।
তারেক জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সাহস থাকলে দেশে আসুন ও রাজনীতি করুন। জঙ্গিবাদের জনক তারেক জিয়া ও তাদের দোসর জামায়াত-শিবিরের মতো অশুভ শক্তির রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী ও ’৭৫-এর ঘাতক দালালদের বিষদাঁত ভেঙ্গে দিতে হবে। সমাবেশ শেষে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস পালন উপলক্ষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।