ঝালকাঠি রাজাপুরের গালুয়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বর্তমান সংসদ সদস্যের বড়ভাই বরকত হাজীর মৃত্যুর বছর না পেরোতেই তার পুত্র-পরিবারের বিরুদ্ধে এলাকার প্রভাবশালী একটি মহলের ইন্ধনে স্থানীয় জামায়াতের একটি শক্তিশালী চক্র মড়িয়া হয়ে উঠেছে।

এ অবস্থায় বরকত হাজীর পরিবারের পক্ষ থেকে তার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরা তাদের পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে সরকার, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগীতা কামনা করেছে। মরহুম বরকত হাজীর মালিকানাধীন মার্কেটসহ প্রায় কোটি টাকার সম্পত্তি নিজেরাই মালিক দাবি করে এ সন্ত্রাসী চক্রটি রাতারাতি নতুন এক ঘর নির্মাণ করলেও আইন-আদালতের তোয়াক্কা করছে না বলে আবেদনে জানিয়েছে। 

একদিকে জমিজমা দখল অন্যদিকে বরকত হাজীর পুত্রদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী অপপ্রচার চালানোর কারনে তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দারুন উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তায় বিরাজ করছে। মরহুম বরকত হাজীর আপন ছোট ভাই ঝালকাঠি-১ আসনের আওয়ামী লীগ সমর্থিত বিএইচ হারুন এমপি থাকা সত্বেও রাজনৈতিক ইমেজের সার্থে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে। আর এ সুযোগে প্রভাবশালী ষড়যন্ত্রকারীরা নেপথ্য থেকে ইন্ধন দিয়ে জামায়াতী চক্রের মাধ্যমে নানা বিধ সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানোর কারনে এমপির বড় ভাইর এতিম সন্তানরা নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে।

লিখিত আবেদনে আরো জানায়, কয়েক যুগ পূর্বে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামসুল হক বরকত ওরফে বরকত হাজীর সাব কওলা দলিল মূলে তার নিজের বাড়ির সামনে ৩৯নং কানুদাসকাঠী মৌজায় ২০৮৬ নং খতিয়ানে ৪৬৪ ও ৪৬৫ নং দাগের ৫১ শতাংশ জমি ক্রয় ও ভোগ দখল করে আসছে। পরে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের অনুরোধে ও ইউনিয়নবাসীর কল্যানার্থে তিনি বিগত ৩০/১০/১৩ ইং তারিখ ১০ শতাংশ জমি ২২৯২ নং দলিল মুলে গালুয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস স্থাপনের জন্য দান করেন। বাকী ৪১ শতাংশের জমিতে মার্কেট নির্মাণ করলে প্রতিবেশি সুরাত মোল্লা ও মরহুম রফিজ মোল্লা গংয়ের ছেলে পুলে বেশ কয়েকটি ষ্টল ভাড়া নেয়।

কিন্তু উক্ত চক্রটি গোপনে মূল্যবান এ মার্কেট সহ সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে একটি জাল সোলে ডিগ্রী ও ৩০ ধারায় রেকর্ডভূক্ত করার চেষ্টা চালায়। বিষয়টি টের পেয়ে বরকত হাজী তার জীবন দসায় উক্ত জাল ডিগ্রি দলিল বাতিলের জন্য ঝালকাঠি সহকারী জজ আদালতে সিভিল মামল নং ৬০/১৪ দায়ের ও ৩০ ধারা রেকর্ড বাতিলের জন্য বিভাগীয় ভূমি জরিপ অফিসে আবেদন করলে তাদের প্রচেষ্টা থমকে যায়। 

সম্প্রতি বরকত হাজীর মৃত্যুতে প্রভাবশালী মহলটি তৎপর হয়ে ইন্ধন দিলে জামায়াত ক্যাডার জাকির, দুলাল, কবির, সবুজ, দেলোয়ার মোল্লা ও তাদের ভগ্নিপতি কথিত র‌্যাব মনিরুজ্জামন সহ সহযোগীরা আদালত ও আইনের তোয়াক্কা না করে ঘর নির্মাণ শুরু করে। বরকত হাজীর পরিবার বিষয়টি তারা ঝালকাঠি পুলিশ সুপার ও রাজাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ ১৫৪ ধারায় সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ ও ৩০ সেপ্টেম্ভর স্ব স্ব কাগজপত্র নিয়ে হাজির হতে বললেও চালিয়ে যাওয়ায় গত ১ নভেম্বর তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এ অবস্থায় প্রভাবশালী মহলটির বিভিন্ন ধরণের অপপ্রচার, ষড়যন্ত্র ও হুমকির মুখে মরহুম বরকত হাজীর পুরো পরিবার বর্তমানে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আশংকায় দিন কাটাচ্ছে।