মূল পদ্মা সেতু ও নদীশাসন কাজের তদারকির জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

আজ সোমবার রাজধানীর সেতু ভবনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশনের ওভারসিজ প্রজেক্ট ডিভিশনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম এবং ছয়টি কোম্পানির পক্ষে নেতৃত্ব দানকারী প্রতিষ্ঠান কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশনের ওভারসিজ প্রজেক্ট ডিভিশনের টিম লিডার চ্যু নাম মিন ৩৮৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত খবব লী ইয়ান ইয়ং, সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমেদ, স্থানীয় কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির প্রধান ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানিয়েছে, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প সরকারের একটি বৃহত্তম অবকাঠামো প্রকল্প। ঢাকা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত এ সেতু পদ্মা নদীর মাওয়া পয়েন্টে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী এবং ফরিদপুর জেলার উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখবে। 

এ সেতুটি দক্ষিণাঞ্চলের ১৯টি জেলার সঙ্গে ঢাকাসহ পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ স্থাপন নিশ্চিত করবে। পদ্মা সেতু হলে এটি হবে এশিয়ান হাইওয়ে রুট এইচ ওয়ানের অংশ। এ সেতু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। 

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পটির বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধি পাবে। পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভূমি অধিগ্রহণ, হুকুম-দখল, ভূমি উন্নয়ন এবং পুনর্বাসনের কাজ প্রায় শেষের দিকে রয়েছে বলে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানিয়েছে। 

উল্লেখ্য, এর আগে চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি পদ্মাসেতু প্রকল্পের মূল সেতু ও নদীশাসন কাজ তদারকির দায়িত্ব দেয় দক্ষিণ কোরিয়ার কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনকে। সে সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রকল্পটি ক্রয় প্রস্তাব সংক্রান্ত কমিটিতে উত্থাপন করেন। প্রকল্পের নাম হলো- পদ্মা বহুমুখি সেতু প্রকল্পের মূল সেতু ও নদীশাসন কাজ তদারকির জন্য কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট (সিএসসি) নিয়োগ। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮৩ কোটি ১৫ লাখ ৩৫ হাজার ৭৯১ টাকা।