১৫ মাসে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলের মধ্য দিয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১০১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। যা গত ১৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র এ তথ্য জানা যায়।
এর আগে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের আগস্ট মাসে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ৫৭ লাখ মার্কিন ডলার। আর চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে রেমিট্যান্স কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ১২ দশমিক ২১ শতাংশ। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ৪৫০ কোটি ১১ লাখ ডলার। আর চলতি বছরের প্রথম চার মাসে এসেছে ৫০৫ কোটি ৭ লাখ ডলার।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কূটনৈতিক তৎপরতার অভাবে জনশক্তি রপ্তানি কমেছে। যার প্রভাব পড়েছে রেমিট্যান্সের উপর। বিশেষ করে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শ্রমবাজার সঙ্কুচিত হওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন তারা।
এছাড়া, ঈদের আগে গতমাসে রেমিট্যান্স বেশি পাঠানোর একটা প্রভাব এর উপর পড়েছে বলে মনে করছেন তারা।
রাস্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের মাধ্যমে চলতি মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩২ কোটি ২৩ লাখ মার্কিন ডলার। দেশীয় বাণিজ্যিক ব্যাংগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৬ কোটি ৪২ লাখ ডলার। বিদেশি ৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্য দিয়ে ১ কোটি ১ লাখ ডলার। বিশেষায়িত ৪টি ব্যাংকের মধ্য থেকে মাত্র ১ টি ব্যাংকের (বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক) মধ্য দিয়ে এসেছে ১ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার।
আলোচ্য সময়ে ৫৬টি ব্যাংকের মধ্যে থেকে বিশেষায়িত ৩টি, বেসরকারি ৮টি এবং বিদেশি ৩টি ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো প্রকার রেমিট্যান্স আসেনি।
উল্লেখ্য, বেসরকারি ৮টি ব্যাংকের সবগুলোই নতুন অনুমোদিত ব্যাংক।
অক্টোবরে বরাবরের মতই ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের মধ্য দয়ে সর্বোচ্চ পরিমান রেমিট্যান্স দেশে এসেছে, যার পরিমাণ ২৬ কোটি ৬৬ লাখ মার্কিন ডলার। অগ্রণী ব্যাংকের মধ্য দিয়ে এসেছে ১১ কোটি ৯০ লাখ, সোনালী ব্যাংক ৯ কোটি ৯৬ লাখ এবং জনতা ব্যাংকের মধ্য দিয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ৪ লাখ মার্কিন ডলার।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।