'৭৩ এ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করা হয়েছিল: শেখ হাসিনা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রামের ফসল আমাদের এই স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতা অর্জন করতে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছে, ২ লাখ মা বোনরে সম্ভ্রম হারাতে হয়েছে। ’৭৫ এ জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা শুরু হয়। জাতির পিতার নির্দেশে যারা স্বাধীনতা এনেছিল তাদের আজকে এই দিনে কারাগারের অন্ধকারের হত্যা করা হয়।
জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের পুরস্কৃত করেছে। নিজে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে সকল যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিষ্ঠা করে জাতির পিতার হত্যাকারীদের জাতীয় চার নেতাকে হত্যাকারীদের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত করে। দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া গোলাম আযমকে এ দেশে প্রতিষ্ঠা করে এই জেনারেল জিয়া। রাজাকার শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন জিয়াউর রহমান। মন্ত্রী বানিয়েছেন।
’৭৩ এ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করা হয়েছিল। জেনারেল জিয়া ক্ষমতায় এসে বিশেষ অধ্যাদেশ জারি করে এই বিচার বন্ধ করে দিয়েছিল। জিয়া ক্যুর মাধ্যমে বিমানবাহিনীর সদস্যদের হত্যা করেছেন, সেনা সদস্যদের হত্যা করেছেন।
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঞ্চে উপস্থিত আছেন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভায় বক্তব্য দিয়েছেন ছাত্রলীগের এ এইচ বদিউজ্জামান সোহাগ, সিদ্দিকী নাজমুল আলম, মহিলা আওয়ামী লীগের আশরাফুন্নেছা মোশাররফ, যুব মহিলা লীগের অপু উকিল, যুবলীগের হারুনুর রশীদ, শ্রমিক লীগের সিরাজুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের পঙ্কজ দেবনাথ, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম, আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও মাহবুবুল আলম হানিফ প্রমুখ।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।