রামগঞ্জে হরতালে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস বর্জন
রামগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন সরকারি অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হরতালে অফিস বর্জন করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হরতালকে পুজিঁ করে অফিসে না আসায় বিভিন্ন দপ্তরে সেবা নিতে আসা জনসাধারণকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাদের দায়ে জামাতের আমির মতিউর রহমান নিজামির ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে জামায়াতের ডাকা দ্বিতীয় দফা ৪৮ ঘন্টা হরতাল রবিবার উপজেলার বিভিন্ন সরকারি অফিস ঘুরে অনেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কর্মস্থলে পাওয়া যায়নি।
সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার প্রকৌশলীর কার্যালয়ে দেখা যায় তালা ঝুলছে। প্রকৌশলী আলী আকবরের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করলে তিনি হরতালের কারণে অফিসে উপস্থিত হতে পারেননি বলে জানান। একই সময় উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের কার্যালয়,উপ-সহকারী প্রকৌশলী কার্যালয়,উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কার্যালয়,উপজেলা বন কর্মকর্তার কার্যালয়, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় প্রত্যেক কর্মকর্তার অফিসে তালা ঝুলছে। শুধুমাত্র তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারীরা একটা রুম খুলে বসে দায়সারাভাবে অফিসের দায়িত্ব পালন করছেন।
উপজেলা বন কর্মকর্তা ইউসুফ মিয়া টেলিফোনে সাংবাদিকদের জানান, হরতালে রাস্তায় সাইকেল পর্যন্ত চলে না। আমি কিভাবে অফিসে আসি।
সাড়ে ১১টায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় অফিসে তালা ঝুলছে। মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ ইউসুফ মিয়া মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি সরকারি কাজে বাহিরে রয়েছেন বলে জানান। এসময় সেখানে আসা নয়ন পুরের মৎসচাষী মোঃ রফিক উল্যা ক্ষোভের সাথে বলেন, উনাকে কখনোই অফিসে পাওয়া যায়না।
১১.১০ টায় উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সাইদুর রহমান কে কর্মস্থলে পাওয়া যায়নি, অফিসের এক কর্মচারী জানান, স্যার শান্তি ছুটিতে আছেন। ছুটি কি এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি আবারো বলেন,স্যারের বাড়ি রায়পূর থানায় হওয়ায় হরতালের কারণে তিনি আসতে পারেননি।
দুপুর ১১ টায় রামগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে দেখা যায়,সাব-রেজিস্ট্রার শাহ-মোঃ আসরাফুজ্জামান ভূইয়া এজলাসে নেই। অফিসের এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তিনি বুধবার ছুটি নিয়ে বাড়ি গিয়েছেন, হরতালের কারণে আসতে দেরি হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন দলিল লিখক জানান, তিনি প্রায়ই হরতালে ছুটিতে থাকেন। বৃহস্পতিবারেরও তিনি ছুটিতে ছিলেন, ফলে জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ ছিলো।
হরতালে সরকরি কর্মকর্তারা অফিসে যোগদান না করার বিষয়ে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মাহবুবল আলম জানান, তারা ছুটিতে আছে বলে জানিয়েছে তা ঠিক নয়। ছুটির বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আর যেসব কর্মকর্তা হরতালে অনুপুস্থিত ছিলেন তাদের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।