ঝালকাঠির কির্ত্তীপাশা আচার্য্য বাড়িতে মন্দির নিয়ে ধূম্রজাল
ঝালকাঠি সদর উপজেলার কির্ত্তীপাশা আচার্য্য বাড়িতে দুটি মন্দির নিয়ে স্বজনদের মাঝে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। মন্দির প্রতিষ্ঠা নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করছে।
আচার্য বাড়ির সনাতন আচার্য্য বলেন, ৬৫ বছর পূর্বে মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করি। হিন্দু অধ্যুষিত কির্ত্তীপাশা ইউনিয়নের সবচেয়ে দুর্গা পূজার জন্য এটি বড় মন্দির। মন্দিরটি সংস্কারের নামে জেলা পরিষদ থেকে ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ এনে আলাদা একটি ভবন তৈরী করেছে উত্তম আচার্য্য। দূর্গা মন্দিরটি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ এনে সেটিকে সংস্কার না করে আলাদা আরেকটি ভবন তৈরী করছে। সেটির নেইম প্লেটে দুর্গা ও কালিমন্দির বলে উল্লেখ করা হয়েছে। দূর্গা মন্দির সংস্কারের নামে টাকা উত্তোলন করে আরেকটি ভবন তৈরী করে সেটিকে কাচারী ঘর হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
মন্দির কমিটির সভাপতি কার্তিক চন্দ্র আচার্য্যরে স্ত্রী কমলা আচার্য্য বলেন, আমি এ মন্দিরের সেবাইত। সে হিসেবে এটিকে সার্বক্ষণিক তদারকি করছি। ওটিকে কালী মন্দিরের জন্য তৈরী করা হয়েছে।
তার পুত্র তাপস আচার্য্য জানান, মন্দির সংস্কারের জন্য ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ এনে যে ভবনটি করেছি সেটিতে ২ লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে। ৬৫ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত দূর্গা মন্দিরটির পাশে আলাদা ভবন করা হয়েছে কালী মন্দিরের জন্য। এখনো ভবনের কাজ সমাপ্ত না হওয়ায় কালীকে এখানে ওঠানো হয়নি। গত দূর্গা পূজায় যারা মেহমান এসেছিল তাদের আপ্যায়ন এখানেই করানো হয়েছে। তাছাড়া রাতে বাদ্যদল এবং প্রতিরক্ষার জন্য যারা এসেছিল তারা এখানেই থেকেছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।