সুন্দরবনে ক্যামেরা পদ্ধতিতে বাঘ গণনা শুরু
ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সুন্দরবনে শনিবার থেকে দ্বিতীয় দফায় শুরু হচ্ছে বাঘ গণনার কাজ। এবারও বাঘ গণনায় ব্যবহৃত হবে ক্যামেরা পদ্বতি। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ প্রকল্প বিষয়ক আঞ্চলিক সহযোগিতায় ও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে আগামি জুন পর্যন্ত চলবে এই বাঘ গণনা। এবার গণনায় সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে নিচ্ছে মোট ৩০ জন মাঠকর্মী। বাঘ গণনার জন্য ৮৯টি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে। এবারই প্রথম বাঘ গণনার জন্য পদ চিহ্নের পরিবর্তে ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে।
ওয়াইল্ড লাইফ ম্যানেজমেন্ট ও ন্যাচার কনজারভেশনের দায়িত্বে নিয়োজিত বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) জাহিদুল কবির জানান, দু’বছর মেয়াদী এই প্রল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে প্রায় দুই কোটি ২৫ লাখ টাকা। এর আগে সুন্দরবনে ক্যামেরা ট্রাপড বাঘ গণনার প্রথম ধাপ শেষ হয় গত এপ্রিলে মাসে।
এসময় বাঘের চলাচল ও ছবি ধারণের জন্য সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে ৮৯টি স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা বসানো হয়েছিলো। প্রতিটি ক্যামেরা টানা বিশ দিন ধরে প্রায় তিনশত বর্গ কিলোমিটার এলাকার ছবি ধারণ করতে সক্ষম। প্রথম পর্যায়ের গণনার ফলাফল ঘোষণা করা হবে না। ছবি বিশ্লেষণের পর বাঘের প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণ করা হবে।
বন বিভাগ থেকে বাংলাদেশ টাইগার এ্যাকশন প্লান-২০০৯-২০১৭, ন্যাশনাল টাইগার রিকভারি প্রোগ্রাম ও বন আইন-২০১২ সংশোধনসহ বাঘ সংরক্ষণের জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চলতি বাঘ গণনা শেষে হরিণ ও অন্যান্য বন্য প্রাণীও গণনা করা হবে বলে জানান ডিএফও জাহিদুল কবির।
এর আগে ২০০৪ সালের এক জরিপে দেখাগেছে, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে ৪৪০টি বাঘ রয়েছে। সুন্দরবনের ভারত অংশে রয়েছে ২১৭টি বাঘ। ইউএনডিপি পদচিহ্ন ব্যবহার করে এই গণনা করে।
বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮২ সালে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে ৪৫৩টি বাঘ ছিলো। ১৯৮৫ সালে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৫০টি। তবে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা পরিচালিত এক জরিপে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা ৩৬৯টি।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।