দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা পুলিশের নজরদারিতে: গ্রেপ্তার ১
জামায়াতপন্থী এনজিও দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা গত ২৯অক্টোবর থেকে পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে। সাইবার অপরাধে সংস্থার এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করার পর পুলিশের কাছে দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সন্দেহের দৃষ্টিতে আসে – এমনটিই জানালেন মনপুরা থানার ওসি হানিফ শিকদার।
সূত্রে প্রকাশ, গত ২৯ অক্টোবর দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার মনপুরার একটি শাখা অফিসের মাঠকর্মী জাকির হোসেন (ভুয়া নাম)-কে প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃতকরে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দিয়ে ফেসবুকে প্রচারের অভিযোগে মনপুরা থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় একটি মামলা ( ০৪ তাং ২৯/১০/১৪) দায়ের করে।
এসময় সংস্থার মনপুরা অফিসের মেফতাহ উদ্দিন ও রসেদা নামে দুই কর্মকর্তাকে আটক করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওসি হাকিম শিকদার জানান, সাইবার অপরাধে গ্রেপ্তারকৃত জাকির হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। জাকির হোসেনের প্রকৃত নাম মনির হোসেন। তার বয়স হবে ১৪/১৫ বছর। সে এবার কলাতলি খালেক জুনিয়র স্কুল থেকে জেএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা, তার রোল নং ১৮০০৪৬ । জাকির হোসেন নামে আলীম পাস এক ছেলের সনদ দিয়ে সে দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থায় চাকরী নিয়েছে।
জাকির হোসেন ওরফে মনির হোসেন জানায়, সংস্থাটি জামায়াত পন্থী হওয়ায় মাঠ পর্যায়ে কর্মচারী নিয়োগে মাদ্রাসা সনদের খুবই মূল্যায়ন করে।
মনপুরা থানারওসি হানিফ শিকদার জানান, দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা একদিকে স্কুল ছাত্রকে চাকরি দিয়ে শিশু শ্রম আইন লংগন করেছে অপর দিকে তাদের নিয়োগ কৃতকর্মচারীরা প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রী এমপিদের ছবি বিকৃত করে প্রতিনিয়ত ফেসবুকে প্রচার করলে ওসংস্থাটি এদের বিরুদ্বে কোনব্যবস্থা না নিয়ে আরো উৎসাহিত করছে –এমনটি জানা গেছে আটককৃত জাকির
হোসেনের কাছ থেকে। তাই মনপুরায় কর্মরত তাদের সকল অফিস ও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নজর দারিতে রাখা হয়েছে।
অপর একটি সূত্রে জানাযায়,এনজিও আড়ালে এনজিও ব্যুরোর ডিজি থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ডোনেশনের বিনিময়ে ম্যানেজ করে বিভিন্ন দাতা সংস্থা থেকে কোটি কোটি টাকা অনুদানে লুটপাট করে এক সময়ের রাস্তার ছেলে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রফিকুল আলম মুক্তিযোদ্বা পরিচয়ে অল্প দিনেই কোটিপতি বনে গেছেন। প্রকৃতপক্ষে রফিকুল আলমের জামায়াতপন্থী মুক্তিযোদ্বা হিসেবে এলাকায় বেশ খ্যাতি রয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।