লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে মৌসুমের আগেই উৎপাদন হয়েছে শীতকালীন রকমারী সবজির। রামগতি উপজেলার টুমচর, বয়ারচর, চররমিজ, রঘুনাথপুর, আদর্শগ্রাম, চরপোড়াগাছা, চর হাসান হোসেন, চর ডাক্তার, বালুরচর, বাংলাবাজার, জনতাবাজার  এবং হাজীরহাট এলাকার সবজি উপজেলাসহ বাইরের অনেক এলাকাতে আগাম যোগান দিচ্ছেন এখানকার কৃষকরা। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এবার আবহাওয়া প্রতিকুলে থাকা সত্ত্বেও এখানকার কৃষকরা আগাম সবজির আবাদ করে বেশ লাভবান হচ্ছে। এখাকার কৃষকরা গত কয়েক বছর থেকে অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে বিভিন্ন জাতের আগাম সবজির আবাদ করে আসছেন।

কৃষকরা জানান, ধানের আবাদ করতে গিয়ে অব্যাহত লোকসান পোষাতেই তারা এবার একের পর এক আগাম বিভিন্ন জাতের সবজির আবাদ করে আসছেন। শীতকালীন শাক-সবজির মধ্যে রয়েছে লাউ, বরবটিসিম, করলা, মুলা ও লালশাক, মুলারশাক ইত্যাদি চাষাবাদ করেছে। সবজির আবাদে এখন লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন কৃষকরা। এতে করে দিনকে দিন বাড়ছে আগাম সবজির আবাদ। 

উপজেলার টুমচর, বয়ারচর, চররমিজ, রঘুনাথপুর, আদর্শগ্রাম, চরপোড়াগাছা, চর হাসান হোসেন, চর ডাক্তার, বালুরচর, বাংলাবাজার, জনতাবাজার  এবং হাজীরহাট সহ বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা যায়, শীতকালীন সবজিতে ভরে গেছে এসব গ্রাম। এমনকি প্রায় বাড়ির আঙ্গিনায় ও উঁচু  জমিতে লাউ, সিম, লালশাক, মুলারশাক ও মুলাসহ রকমারী শীতকালীন সবজিতে ভরে গেছে মাঠের পর মাঠ। সংসারের কাজের ফাঁকে মহিলারা ও লেখা-পড়ার পাশা-পাশি স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়েরাও যোগান দিচ্ছে এই কৃষি আবাদে। 

তাই এখানকার কৃষক-কৃষাণীরা অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন। যেন অবসর নেই তাদের, কেউ ক্ষেত থেকে শাক-সবজি তুলছে কেউবা পরিস্কার করে আটি বাঁধছে। আবার কেউ কেউ ক্ষেত থেকেই শাক-সবজিগুলো চড়া দামে পাইকারী বিক্রি করে দিচ্ছে। আর এসব শীতকালীন সবজি উপজেলার বাজারগুলোতে চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন এলাকার পাইকারদের কাছে বেশ চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুছ ছোবাহান বলেন, মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সঠিক পরামর্শ দিয়ে সঠিক সময়ে চাষাবাদ করেছে বলেই কৃষিতে সাফল্য এসেছে।