- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- রাজাকার মীর কাসেমের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
রাজাকার মীর কাসেমের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
আগামী রবিবার জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাজাকার মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী মামলার রায় ঘোষণা করবেন ট্রাইব্যুনাল।
গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর ১৪টি অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মীর কাসেমের বিচার শুরু হয় ট্রাইব্যুনাল-১ এ। পরে মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-২ এ স্থানান্তর করা হয়।
২০১২ সালের ১৭ জুন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে গ্রেপ্তার করা হয় মীর কাসেম আলীকে। গত বছরের ২৬ মে তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশনের পক্ষে ২৪ এবং আসামিপক্ষে তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
ট্রাইব্যুনালের আদেশে মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগ গঠন করা হয়। প্রসিকিউশনের আনীত প্রথম অভিযোগে বলা হয়, মীর কাসেমের নেতৃত্বে আলবদর বাহিনী ১৯৭১ সালের ৮ নভেম্বর ওমরুল ইসলাম চৌধুরীকে অপহরণ করে। পরে কয়েক দফায় চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লার ডালিম হোটেল, পাঁচলাইশ থানার সালমা মঞ্জিল এবং একটি চামড়ার গুদামে নিয়ে নির্যাতন করা হয় তাকে।
দ্বিতীয় অভিযোগ
মীর কাসেমের নেতৃত্বে ১৯ নভেম্বর চাকতাই থেকে লুৎফর রহমান ফারুককে অপহরণ করে ডালিম হোটেলে নিয়ে নির্যাতন করা হয় এবং বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়।
তৃতীয় অভিযোগ
২২ বা ২৩ নভেম্বর মীর কাসেমের নেতৃত্বে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে ডালিম হোটেলে নির্যাতন করা হয়।
চতুর্থ অভিযোগ
সালাহউদ্দিন খানকে ধরে নিয়ে ডালিম হোটেলে নির্যাতন করে আলবদর বাহিনী।
পঞ্চম অভিযোগ
২৫ নভেম্বর আনোয়ারা থানার আবদুল জব্বারকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে ডালিম হোটেলে মীর কাসেমের সামনে হাজির করা হয়। সেখানে নির্যাতন করা হয় তাকে।
ষষ্ঠ অভিযোগ
চট্টগ্রামের একটি চায়ের দোকান থেকে হারুনুর রশিদকে ধরে নিয়ে ডালিম হোটেল এবং সালমা মঞ্জিলে নির্যাতন করা হয়।
সপ্তম অভিযোগ
মীর কাসেমের নেতৃত্বে সাত-আট যুবক ডবলমুরিং থানা থেকে সানাউল্লাহ চৌধুরীসহ দুজনকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করা হয় ডালিম হোটেলে।
অষ্টম অভিযোগ
২৯ নভেম্বর রাতে অপহরণ করে ডালিম হোটেলে নিয়ে নির্যাতন করা হয় নুরুল কুদ্দুসসহ চারজনকে।
নবম অভিযোগ
২৯ নভেম্বর সৈয়দ মো. এমরানসহ ছয়জনকে অপহরণ ও নির্যাতন।
দশম অভিযোগ
মীর কাসেমের নির্দেশে মো. জাকারিয়াসহ চারজনকে অপহরণ ও নির্যাতন।
১১তম অভিযোগ
শহীদ জসিম উদ্দিনসহ ছয়জনকে অপহরণের পর নির্যাতন। এতে জসিমসহ পাঁচজন নিহত হন এবং পরে তাদের লাশ গুম করা হয়।
১২তম অভিযোগ
অপহরণ করে নির্যাতন করা হয় জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ তিনজনকে। এতে দুজন নিহত হন এবং গুম করা হয় তাদের লাশ।
১৩তম অভিযোগ
সুনীল কান্তিকে অপহরণ ও নির্যাতন।
১৪তম অভিযোগ
নাসির উদ্দিন চৌধুরীকে অপহরণ ও নির্যাতন।
আরও পড়ুন:
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।