দেশে উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা ও উন্নয়ন দুটোই রাজনীতির সৃষ্টিঃ ড. মিজান
'আমাদের দেশে উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রাজনীতি। আবার এই রাজনীতিই দেশের উন্নয়নও করে। রাজনীতিবিদরা কোনো অপরাধ করলে পদ হারানোর আগে তা জানা যায় না '
প্রসঙ্গক্রমে লতিফ সিদ্দিকীর কথা উঠলে একথা বললেন, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। সোমবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অক্সফাম আয়োজিত ‘খাদ্য অধিকার বিষয়ে গণশুনানী’ শীর্ষক সেমিনারে খাদ্য বিষয়ে বক্তব্য রাখার পাশাপাশি দেশের রাজনীতি সম্পর্কেও কিছু কথা বলেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের পলিসি অ্যাডভোকেসী ম্যানেজার মনিষা বিশ্বাস।
লতিফ সিদ্দিকী সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, 'মন্ত্রীত্ব হারানোর পর আমরা জানতে পারি তার অঢেল সম্পদের কথা। এর আগে তার সম্পর্কে কিছুই প্রকাশ হয়নি। এ সময় তিনি প্রশ্ন রাখেন, আমরা কি সবসময়ই মন্ত্রীত্ব হারানোর পর মন্ত্রীদের অপরাধের কথা জানতে পারবো? আগে কেন তা জানতে পারবো না?'
খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কে ড. মিজান বলেন, মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হলে আগে খাদ্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আমরা চাই নিরাপদ খাদ্য- যা হবে ভেজালমুক্ত। এর জন্য শুধু সরকার বা কোনো সম্প্রদায় নয়- সবাইকে সচেতন হতে হবে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র যদি নির্ভেজাল খাদ্য দিতে না পারে, তাহলে নাগরিক শুধু তার স্বাস্থ্যহানীই ঘটাবে না- একইসঙ্গে নিজের অধিকার থেকেও বঞ্চিত হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা ভাতের ওপরে চাপ কমিয়ে গমের তৈরি খাদ্যের ওপর জোর দিতে পারি। এতে করে চালের ওপর যে খাদ্যের চাপ আছে সেটা কিছুটা কমে আসবে।
বর্তমানে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণ হয়ে বিদেশেও খাদ্য রপ্তানি করছে। বিশেষ মনোযোগ ও দিক নির্দেশনাই পারে বাংলাদেশের খাদ্য ব্যবস্থাকে পাল্টে দিতে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।