ব্রিজের পাটাতন ভেঙে পড়ায় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে জেলার সাদুল্যাপুর-ধাপেরহাট পাঁকা সড়কের আশপাশের হাজার হাজার জনসাধারণ চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। 

এদিকে ব্রিজটি সংস্কার না হওয়ায় স্থানীয় এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে বিকল্প হিসেবে ব্রিজের পাশে কাঁচা রাস্তা তৈরি করেছেন। ওই রাস্তা দিয়ে কোনো রকমে ঝুঁকি নিয়ে রিক্সা, ভ্যান, মোটরসাইকেল, টেম্পো, ভটভটি চলাচল করলেও বাস, ট্রাকসহ ভারি মালবাহী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। 

দিনের বেলা কোনো রকমে চলাচল করলেও রাতের আঁধারে ব্রিজ পার হতে গিয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে এলাকাবাসী ব্রিজের ভাঙা অংশের সামনে একটি গাছ ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গত দুই মাস আগে হঠাৎ করেই ব্রিজের মাঝখানের পাটাতনের ঢালাই, ইট ও সুরকি উঠে গিয়ে একটি বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। অথচ এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন উপজেলা ও জেলায় কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। কিন্তু ভেঙে যাওয়া ব্রিজ সংস্কারের জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। 

উপজেলার বকশিগঞ্জ এলাকার স্কুল শিক্ষক চাঁন মিয়া জানান, পরিবহণ চলাচল বন্ধ থাকায় উপজেলার সকল প্রকার ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এছাড়া উপজেলার মধ্যে বেশিরভাগ কাঁচা তরিতরকারী উৎপাদন হয় ধাপেরহাট ইউনিয়নে। কিন্তু উৎপাদিত কৃষিপণ্য কৃষকরা আনা-নেওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। 

এ বিষয়ে ধাপেরহাট ইনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিপন জানান, ব্রিজের মধ্যে গর্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান হয়েছিল। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এলাকার লোকজনের সহায়তায় ব্রিজের পাশ দিয়ে বিকল্প যাতায়াতের রাস্তা তৈরি করা হয়। বর্তমানে ওই রাস্তা দিয়ে পথচারী ও ছোট যানবাহন চলাচল করলেও ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রী সাধারণ সহ এলাকার লোকজন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। 

জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আজিজুল হক জানান, ব্রিজটি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই দ্রুত গতিতে ব্রিজটি সংস্কার করা হবে।