নজরদারির অভাবে ধ্বংস হচ্ছে রাঙামাটির সুভলং পর্যটন কেন্দ্র
পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভামনাময় জেলা হচ্ছে রাঙামাটি জেলা।এখানের পর্যটন স্পটে প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটকের ভীড় জমে। এখানে পর্যটকদের আকর্ষণ করে ঝুলন্ত ব্রীজ,বন বীহার, সুভলং ঝর্না, টুকটুক, পেদাতিংতিং, বালুছড়ি, আসাম বস্তি ব্রীজ,ঘাগড়া ঝর্না কাপ্তাই নেভী ক্যাম্প,কাপ্তাই বাধ ইত্যাদি উল্লেখ্য যোগ্য।
এদের মাঝে পর্যটকদের বেশি আকর্ষণ করে ঝুলন্ত ব্রীজ আর সুভলং ঝর্না। ঝুলন্ত ব্রীজের অবস্থা ভালো হলেও এখন সুভলং ঝর্নার অবস্থা খুব খারাপ। এখানে দিন দিন পর্যটকদের ভিড় কমছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সুভলং ঝর্ণায় এখন পর্যটক এসে আগের মত আনন্দ করতে পারেনা।এখানে ঝর্ণায় যাওয়ার আগে একটি ছোট ব্রীজ আছে।এখান থেকে ঝর্নার সৌন্দর্য বেশি উপভোগ করা যায়। আর এ ব্রীজটি এখন আর ব্যবহার করা হয়না। কারণ ব্রীজটির প্রায় ৫ভাগের ৩ভাগ নষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া ঝর্ণা দেখার জন্য যে কয়টা উচু সিড়ি আছে সেগুলোর অবস্থা আরো খারাপ। ঝর্নারর আশেপাশে যে ছোট ছোট গোলঘর আছে প্রত্যেকটা এখন ব্যবহারের অযোগ্য।
সুভলং পর্যটনস্পটের ইজারা নেয়া সুভংকর চাকমা বলেন এখানে আগের মতো পর্যটক আসেনা।আসলে তাড়াতাড়ি চলে যায়। কারণ এখানে বসার কোন ভালো যায়গা নাই।তাছাড়া ঝর্নার পানি যে রাস্তা দিয়ে আসে সেখানে কিছু মানুষ বাধ দিয়ে রেখেছে। বাধ দেওয়ার কারনে পানি আগের মতো বেশী পড়েনা। তাই এখানে আর পর্যটক আসতে চায়না।
ঝর্ণার ইজারদার বলেন কর্তৃপক্ষ যদি এসবের ব্যবস্থা নেয় তাহলে এখানে আগের মতো আবার পর্যটকদের ভিড় দেখা যাবে। ঝর্ণায় ঘুড়তে আসা কয়েকজন পর্যটক বলেন এখানের নিরাপত্তার খুব অভাব।এখানে কোন আর্মি বা পুলিশের টহলদল থাকা উচিত। কারণ এখানে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের উৎপাত অনেক বেশী।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।