বাংলাদেশের সাংবাদিকদের পাশে রয়েছে জার্মানি
ঢাকার জার্মান দূতাবাস বাংলাদেশের সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় এগিয়ে এসেছে। আর তারা এ জন্য একটি প্রকল্পে মানবাধিকার সংগঠন ‘আর্টিক্যাল ১৯’-এর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে। এ নিয়ে জার্মান দূতাবাসে একটি চুক্তি সই হয়েছে।
এই প্রকল্পে জার্মানি ৫০ লাখ টাকার অর্থ সহায়তা দেবে, যা সাংবাদিকদের অধিকারকে আরো সমুন্নত করার কাজে ব্যয় হবে। ঢাকার জার্মান দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ফন ভাইয়ে এবং আর্টিক্যাল ১৯-এর আঞ্চলিক পরিচালক তাহমিনা রহমান মঙ্গলবার ঐ চুক্তিতে সই করেন। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের অধিকার আরো সমুন্নত হবে বলে চুক্তিসই অনুষ্ঠানে আশা করা হয়েছে।
আর্টিক্যাল ১৯-এর আঞ্চলিক পরিচালক তাহমিনা রহমান জানান, সাত মাসের এই প্রকল্পে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেখানে তাঁদের অধিকারের জন্য আইনি প্রশিক্ষণ যেমন থাকবে, তেমনি তাঁরা কীভাবে ঝুঁকি এড়িয়ে কাজ করতে পারেন – সে বিষয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাহমিনা জানান, সাংবাদিকদের বাছাই করা হবে সারাদেশ থেকে। ঢাকার সাংবাদিকরা যেমন থাকবেন, তেমনি ঢাকার বাইরের সাংবাদিকরাও থাকবেন।
তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে সাংবাদিকরা অত্যন্ত প্রতিকূল পরিবেশে এবং ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। তাই তাঁদের তথ্য অধিকার, সংবিধান অনুযায়ী মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং এই সংক্রান্ত আইন ও বিধি বিধানের ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা থাকা উচিত। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক নীতি, আইন এবং বিধি সম্পর্কেও তাঁদের ধারণা থাকা দরকার। এ সব জানা থাকলে তাঁরা অনেকটাই ঝুঁকি এড়িয়ে কাজ করতে পারবেন। এছাড়া সাংবাদিকদের অধিকার, বিশেষ করে তথ্য সংক্রান্ত অধিকার সম্পর্কেও সম্যক ধারণা থাকতে হবে।'' এই ধারণা তাঁকে তাঁর অধিকার সম্পর্কে সচেতন করবে বলে জানান তাহমিনা রহমান।
তাহমিনা রহমান বলেন, ‘‘আমরা চাই সাংবাদিকরা ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশে স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা করবেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাঁদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সেভাবেই তাঁদের প্রস্তুত করার চেষ্টা করা হবে।'' শীঘ্রই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ‘আর্টিক্যাল ১৯' বাংলাদেশে নারী সাংবাদিকদের জন্য এরই মধ্যে একাধিক প্রকল্প শুরু করেছে। সেসব প্রকল্পেও নারী সাংবাদিকদের অধিকার এবং তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ হচ্ছে।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিচালক নূর খান জার্মান সরকার এবং আর্টিক্যাল ১৯-এর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘‘এতে প্রকারন্তরে বাংলাদেশের গণতন্ত্রই লাভবান হবে। কারণ সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত হলে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত হবে। তথ্যে নাগরিকদের প্রবেশাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।''
সূত্র: ডয়চে ভেল
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।