তোবায় গবেষণারত ঢাবি শিক্ষকের উপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদ
তোবা গার্মেন্টসের আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. লুৎফার উপর যে সকল পুলিশ বাহিনী আক্রমণ করেছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে তারা।
বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদের প্রধান ফটকে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানান বিক্ষুব্ধ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
সমাবেশে এম এম আকাশ বলেন, লুৎফা তার গবেষণা কাজে সেখানে গিয়েছিল এবং সে তার মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের পানি ও খাবার দিচ্ছিল। কিন্তু সরকারের পুলিশবাহিনী তাদের উপর অকথ্য নির্যাতন করে। যা অত্যন্ত দু:খজনক। তিনি বলেন, যারা অন্যায় করবে তাদের বিরুদ্ধে সব সময় প্রতিবাদ জানাতে হবে। তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের মান ক্ষুন্ন হয় বলে সম্প্রচার নীতিমালা করে এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ বন্ধ করা যাবে না। আমরা পরিষ্কার বলতে চাই। যে অন্যায় করে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হবে, সমালোচনা হবে, কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানানো হবে। এবং অপরাধীকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। সে যাই হোক না কেন।
ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, তোবা গার্মেন্টসের শ্রমিকদের আন্দোলনের সময় শিক্ষক ও গবেষকদের উপর যে আক্রমণ হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। অবিলম্বে এ ঘটনার সঙ্গে দায়ি সকল পুলিশ ও সন্ত্রাসী বাহিনীকে গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান বলেন, আমাদের সমাজব্যবস্থা কতটা নিচে নামলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। আজ যেখানে টেলিভিশনে শামীম ওসমানের মতো গডফাদরদের টকশোতে দেখতে হয়। সেখানে এর চাইতে আর ভালো কি আশা করতে পারি আমরা। আমাদের হীন নিচ এ সমাজব্যবস্থার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। যাতে কখনোই এমন জঘন্য ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রুবাইয়াত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, অধ্যাপক জিনাত হুদা, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানী, অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম খান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এ কে মনিরুদ্দিন, আন্তর্জাতিক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।