অবাধ যৌনতায় ইরানের তরুণীরা
মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ইরান এমন একটি রাষ্ট্র, যেখানে নারীর পর্দা নেওয়া এবং নারী-পুরুষের মেলামেশা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সেখানে যৌনতা ঘরের বিছানা থেকে রীতিমতো বাইরে চলে আসছে। তাই বলা যেতে পারে, এবার ইসলামি রাষ্ট্র ইরানের ধর্মীয় নেতাদের মুখ খুলতে হবে খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয়ে। সরকারের এমনই একটি অফিসিয়াল রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান-এ।
সম্প্রতি ৮২ পাতার এই ডকুমেন্টরই ইস্যু করেছে ইরানের পার্লামেন্টারি রিসার্চ ডিপার্টমেন্ট। তাতে বলা হয়, সদ্য প্রাপ্তবয়স্করাই যে শুধু যৌনতায় আসক্ত তা নয়, অবিবাহিত ৮০ শতাংশ নারীর প্রেমিক রয়েছে। এদের মধ্যে স্কুলপড়ুয়ারাও রয়েছেন।
এই ডকুমেন্টারিতে বলা হয়, এটা শুধু ছেলে-মেয়েদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, ১ লাখ ৪২ হাজার মেয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৭ শতাংশ শিকার করেন তারা সমকামী।
আগে থেকেই রাজধানী তেহরানে মানুষের যৌনজীবন 'আন্ডারগ্রাউন্ড সেক্স' তকমা পেয়েছে। ইসলামিক রাষ্ট্রে সংস্কৃতির এই পরিবর্তন সরকারের জন্য বেশ অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছে।তা ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে এমন একটি নথিকে উন্মুক্ত করে দেওয়াও বিরল ঘটনা। এ বিষয়ে পার্লামেন্টের গবেষকদেরও খোলামেলা কথা বলতে দেওয়া হয়েছে।
এই পরিস্থিতি সামাল দিতে 'সিগহে' ব্যবস্থা চালু হলে তা কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক যুগ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। কারণ অনেকের মতে, প্রাচীন আমলে এটি আসলে এক ধরনের পতিতাবৃত্তির কাঠামো ছিলও।
গবেষকদের মতে, তরুণ-তরুণীদের এই অনৈতিক যৌনতা থেকে বের করে আনতে সরকারিভাবে 'সিগহে' ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে। 'সিগহে' শিয়া মুসলমান সংস্কৃতির এক প্রাচীন চর্চা যার মাধ্যমে নারী-পুরুষ অস্থায়ীভাবে বিয়ে করতেন।
৩২ বছর বয়সী আধুনিকমনা তরুণী জাহরা পরিষ্কার বললেন, প্রত্যেক মানুষের দেহ ও মন যা চায় আমি তাই করছি। আমার একটিই জীবন এবং দেশকেও আমি ভালোবাসি। কিন্তু বাস্তবতা বুঝতে আমার নেতাদের বড় হয়ে ওঠার অপেক্ষায় আমি থাকতে পারি না। তাই তিনি তার প্রেমিকের সঙ্গে তেহরানের উত্তরাংশে বসবাস করছেন।
আধুনিক ইরানিরা অনেকেই নিজেকে 'সত্যিকার মুসলমান নয়' বলে কৌতুক করেন। ইসলামি রাষ্ট্রে বিভিন্ন শর্তে নিষিদ্ধ একটি বিষয় নিয়ে তরুণ সমাজের এ ধরনের কৌতুক ধর্মীয় নেতাদের কাছে নিঃসন্দেহে এক বিশাল চ্যালেঞ্জ।
সরকারের এই রিপোর্টের বিষয়ে ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলো পিঠ বাঁচানোর জন্য বেশি আগ্রহ দেখায়নি। একইভাবে পার্লামেন্টের সদস্যরাও মুখ খুলতে নারাজ। তবে অনেকে গোপনে এবং নাম না প্রকাশ করার শর্তে মত প্রকাশ করে বলছেন, ইরানে চলমান এই যৌন সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।