- হোম
- >
- চিত্র-বিচিত্র
- >
- কনডম ব্যবহারে পর্নো মুভিতে ধস
কনডম ব্যবহারে পর্নো মুভিতে ধস
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ১২ আগস্ট, ২০১৪
প্রিন্টঅঅ-অ+
এইডস নিয়ন্ত্রণে ২০১২ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসে পর্নো মুভি অভিনেতাদের কনডম পরে অভিনয়ের বিষয়টি আইন করে বাধ্যতামূলক করা হয়। আইন প্রণেতাদের মতে, এর ফলে যারা এসব মুভি দেখবেন তাঁদের এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়বে। সে বছর নভেম্বরে এই আইন করার আগে ৪৮০টি পর্নো মুভি নির্মিত হয়েছিল লস অ্যাঞ্জেলেসে। এই আইনের কার্যকরের পর কনডম ব্যবহার করে মুভি নির্মাণের কারণে ২০১৩ সালে মাত্র ৪০টি এবং এ বছর এখন পর্যন্ত ২০টি মুভি নির্মাণ হয়েছে। অর্থাৎ লস অ্যাঞ্জেলেসের এই ব্যবসায় ধস নেমেছে বলে জানিয়েছেন মুভি নির্মাতারা।
পর্নোগ্রাফি প্রযোজনা কোম্পানি ভিভিড এন্টারটেইনমেন্ট-এর প্রতিষ্ঠাতা স্টিভেন হার্শ জানালেন, ‘‘২০১২ সালের নভেম্বর মাসে আইনটি পাস হওয়ার পর, আমরা লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টিতে একটিও মুভি প্রযোজনা করিনি।''
তবে কেবল এই একটি কাউন্টিতেই এই আইন জারি হয়েছে। স্টিভেন জানান, মুভি নির্মাণের আগে প্রত্যেকটি অভিনেতা অভিনেত্রীর এইচআইভি পরীক্ষা করেই নেয়া হতো। ফলে মুভি তৈরিতে কোনও সমস্যা ছিল না। যার এইচআইভি পজিটিভ হতো তাঁকে বাদ দেয়া হত। এছাড়া এই মুভিতে যারা অভিনয় করেন তাঁরা কনডম ব্যবহার করতে চান না। এগুলো ছাড়া চলচ্চিত্রে সাবলীলভাবে অভিনয় করতে পারেন না বলে অভিযোগ করেন অভিনেতারা। এমনকি এই মুভির দর্শকরাও অভিনেতাদের কনডম ছাড়াই দেখতে চান বলে জানান তিনি।
এ কারণে প্রযোজকদের একটি দল খুব শিগগিরই এই আইনের বিরুদ্ধে আবেদন করবেন বলে জানালেন স্টেভান। পর্নো মুভি নিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেসের ব্যবসাটা বিশাল। অন্তত ১০ হাজার মানুষ এতে কাজ করে। বছরে আয় হয় কয়েকশ' কোটি টাকা। তবে ২০১৩ সালে পর্নো মুভিতে অভিনয় করেন এমন পাঁচজন অভিনেতার রক্তে এইচআইভি জীবাণু পাওয়া যায়। স্টেভানের মতে, সিনেমার বাইরে নিজেদের অনিরাপদ যৌন জীবনই তাঁদের এইডস এর কারণ।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এইডস হেলথ কেয়ার ফাউন্ডেশন এর সভাপতি মিশেল ভাইনস্টাইন বলেছেন, ‘‘কেবল এইডস নয়, বিভিন্ন ধরণের যৌন সম্পর্কের কারণে বিভিন্ন রোগ একে অপর থেকে ছড়াতে পারে। আর এ কারণেই এই আইন করা হয়েছে।''
তিনি একথাও বলেন, ‘‘আপনি অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশে হয়ত কনডম ছাড়াই শুটিং করতে পারেন, তবে এখানে তা সম্ভব নয়।''
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।