দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিতি, দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে অবহেলা-গাফিলতি, অবৈধভাবে বিভিন্ন প্রকার বিল-ভাউচার স্বাক্ষর, সরকারি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণসহ বিভিন্ন কারণে গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ পৌর মেয়র নুরুন্নবী প্রামানিক সাজুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন জেলা প্রশাসক এহছানে এলাহী। 

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের গত ২৬ জুন পত্রাদেশে প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক ওই সুপারিশ করেন।

 

জানা গেছে, পৌর মেয়র কয়েকটি মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হয়ে গত ২১ নভেম্বর ২০১৩ থেকে আত্মগোপনে থাকায় পৌর সভার বিভিন্ন প্রকার প্রশাসনিক কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ পৌর নাগরিকগণ সকল সুবিধাবঞ্চিত হতে থাকলে ১০ জন কাউন্সিলর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন। 

অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গত ১৭ জুলাই ২০১৪ ইউএনও আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিন তদন্ত করেন। তদন্তকালে মেয়র কর্তৃক গত অর্থবছরের উন্নয়ন ফান্ডের (এডিবি) অর্থ কোনো প্রকার সভা আহ্বান ছাড়াই প্রকল্প তৈরি না করেই ৫১ লাখ টাকা বিধিবহির্ভূতভাবে পৌর সভা নিজস্ব ১৯২১ নম্বর এ্যাকাউন্ট জমা রাখা, আই ইউ আইডিবি প্রকল্পের চেক স্বাক্ষর, দীর্ঘদিন থেকে মাসিক সভা আহ্বান না করা, পৌর কর্মচারীগণকে স্বেচ্ছাচারিতা-দুর্নীতির কারণে বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ অপচয়সহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য খুঁজে পান।

 

 

এ ছাড়া মেয়র দীর্ঘদিন আত্মগোপন করে থাকায় পৌর সভার সমস্ত কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে মর্মে তদন্তকারী কর্মকর্তা প্যানেল মেয়র লুৎফর রহমান মুক্তাকে পৌরসভার সমুদয় দায়িত্ব প্রদানের সুপারিশ করে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনের সাথে একমত পোষণ করে জেলা প্রশাসক পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিনিয়র সচিব স্থানীয় সরকার বিভাগ বরাবর সুপারিশ পত্র প্রেরণ করেন।