সঙ্গী বা সঙ্গিনীর (স্বামী/স্ত্রী) সাথে ভালোবাসার একান্ত সময় কাটাতে চাইছেন? তবে আর দেরি কেন? এগিয়ে যান। কারণ নিয়মিত যৌনমিলন মানসিক শান্তির সঙ্গেই আপনার ক্লান্তি কাটিয়ে দেবে, ক্যালরি কমাবে, আরামের ঘুমও উপহার দেবে। এক কথায় শরীরকে করে তুলবে সুস্থ, ঝরঝরে প্রাণবন্ত।

নিয়মিত যৌনমিলনের ১০টি উপকারিতা-

১. সপ্তাহে দু`দিন যৌনমিলন পুরুষদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বহুলাংশে কমিয়ে দেয়।

২. যৌনমিলন ব্যথা উপশমে অব্যর্থ। যৌনমিলনের সময় অর্গাসমের ফলে অক্সিটোসিন হরমোন ক্ষরণের মাত্রা পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পায়। এর সঙ্গেই শরীর এন্ডোরফিনস ক্ষরণ করে যা ব্যথা কমিয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।

৩. নিয়মিত যৌনমিলন শরীরে IgA অ্যান্টিবডির সংখ্যা বাড়িয়ে তোলে। যা রোগ প্রতিরোধে অপরিহার্য্য।

৪. সহবাস ক্লান্তি দূর করে। মানসিক শান্তি তৈরি করে।

৫. যৌনমিলনের পরবর্তী ঘুম আরাম ও শান্তির হয়। যা সার্বিক ভাবে শারীরিক সুস্থতা বৃদ্ধি করে।

৬. প্রত্যেকবার যৌনমিলনের ফলে অন্তত পক্ষে ৮০ ক্যালরি করে ক্ষয় হয়। ফলে ওজন ঝরানোর জন্য মোক্ষম পদ্ধতি যৌনমিলন।

৭. যৌনমিলন চলাকালীন ডিহাইড্রোএপিএন্ড্রোস্টেরন নামের একটি হরমোন ক্ষরিত হয়। এই হরমোন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন কোষ-কলাকে মেরামত করে। ফলে আয়ু বৃদ্ধি পায়।

৮. যৌনমিলনের সময় হৃৎস্পন্দনের হার বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ও কোষে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

৯. যৌনমিলন চলাকালীন অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরনের ফলে যৌনমিলন তৃপ্তি দায়ক হয় এটা সবারই জানা। কিন্তু অনেকেরই জানা নেই টেস্টোটেরন একই সঙ্গে হাড় মজবুত করে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে, হার্টের সুস্থতা বজায় রাখে। মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সময় অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেন ক্ষরণ হার্টের সুস্থতা বজায় রাখে।

১০. সপ্তাহে অন্তত তিনবার যৌনমিলন বাহ্যিকভাবে আপনার বয়স দশ বছর কমিয়ে দিতে পারে। সহবাসের সময় শরীরে অক্সিটোসিন, এন্ডোরফিন জাতীয় মলিকিউলস ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক কোষ গুলিকে মেরামত করতে পারে এই মলিকিউলস গুলি।

এছাড়া এই সময় যৌন মিলন চলাকালীন যে গ্রোথ হরমোন ক্ষরিত হয় তা চামড়ার কুঞ্চন প্রতিরোধ করে। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।