বোমা আর গুলির বিষাক্ত ধোঁয়ায় নিঃশ্বাস নেওয়াটা দায় গাজা উপত্যকার মানুষদের। আর্তনাদ, কান্না আর আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে সেখানকার বাতাস। বুলেটের আঘাতে কিংবা বোমার স্পিন্টারে কখন জানি শরীরটা ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়, সেই আতঙ্কে কাটছে তাদের সময়। এক মাসের সংঘাতে ইসরায়েলি সেনাদের তাণ্ডবে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি। নারী-পুরুষের সঙ্গে বাদ পড়েনি শিশুরাও।

জীবনের মানে বোঝার আগেই নিষ্ঠুর নিয়তি কেড়ে নিচ্ছে তাদের জীবন, নয়তো রক্তাক্ত অবস্থায় ঠাঁই হচ্ছে হাসপাতালের বিছানায়। গাজায় চলমান পরিস্থিতি, বিশেষ করে নিষ্পাপ শিশুদের অবস্থা দেখে আর চুপ করে থাকতে পারলেন না লিওনেল মেসি। অসহায় ফিলিস্তিনি শিশুদের পাশে দাঁড়িয়ে চলমান সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

৬ অগাস্ট বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বার্সেলোনা তারকা লিখেছেন, ‘প্রতিদিন ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের চলমান সংঘাতের দৃশ্যগুলো দেখে একজন বাবা ও ইউনিসেফের দূত হিসেবে আমি ভীষণ মর্মাহত। এখনকার সহিংসতা ইতোমধ্যে কেড়ে নিয়েছে অনেক তরুণ প্রাণ এবং আহত হয়েছে অসংখ্য শিশু।’

ফুটবল মহানায়কের এ স্ট্যাটাসে ‘লাইক’ পড়েছে তাঁর ৬ কোটি ৮০ লাখ ৪৩ হাজার ৯১৩ ভক্তের। শিশুরা কোনোভাবেই এই সংঘাতের মূল্য দিতে পারে না মন্তব্য করে মেসি আরো লিখেছেন, ‘শিশুরা এই সংঘাত সৃষ্টি করেনি, কিন্তু এর পরও তাদের চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে এর জন্য। এটা খুবই দুঃখজনক।’ সবশেষে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনিদের সংঘাত বন্ধের ডাক দিয়ে লিখেছেন, ‘এই মূল্যহীন সহিংসতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। অবশ্যই শিশুদের রক্ষা করতে হবে আমাদের।’

মেসির বার্তাটি আরবি ও ইংরেজি দুটি ভাষাটাতেই লেখা, সঙ্গে পোস্ট করা হয়েছে মাথায় ব্যান্ডেজ জড়ানো একটি শিশুর ছবি। ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিয়ে চারবার বিশ্বসেরা ফুটবলারের খ্যাতি জেতা আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকরের বার্তার প্রতিক্রিয়া আসতেও সময় লাগেনি। কেউ কেউ আবার তাঁর সমর্থনকে ভালোভাবে নেয়নি। একজন যেমন লিখেছে, ‘তুমি কিভাবে আরব আতঙ্কবাদী সংগঠনকে সমর্থন করো।’ অনেকে আবার কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, ‘ধন্যবাদ লিও...মুক্ত হোক ফিলিস্তিন’ এবং ‘মেসি আমি আমার জীবনকে ভালোবাসি’ লিখে।