'স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোয় ইসরাইলি হামলা ইচ্ছাকৃত ও যুদ্ধাপরাধ'
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ০৯ আগস্ট, ২০১৪
প্রিন্টঅঅ-অ+
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বা এআই বলেছে, গাজায় হাসপাতালগুলো এবং চিকিৎসক টিমগুলোর ওপর ইসরাইলি হামলার ঘটনা ছিল ইচ্ছাকৃত ও সুপরিকল্পিত। হাসপাতাল ও ত্রাণসংস্থাগুলোর কর্মীদের প্রামাণ্য বক্তব্যের ভিত্তিতে এআই এ তথ্য দিয়েছে।
অ্যামনেস্টি গতকাল (শুক্রবার) এক বিবৃতিতে 'মুফাককারাহ আল ইসলাম' নামের একটি ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে বলেছে, আমরা অ্যাম্বুলেন্সগুলোর চালক ও নার্সদের বক্তব্য শুনেছি। তারা বলেছেন, গুলি ও বোমা-বৃষ্টির মধ্যেও তৎপরতা চালিয়ে গেছেন এবং অন্যদের উদ্ধার করতে গিয়ে তাদের অনেক সহকর্মী নিহত হয়েছেন।
বিবৃতিতে সংস্থাটি আরো বলেছে, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী হাসপাতাল, ত্রাণকর্মী ও চিকিৎসকদের ওপর হামলা নিষিদ্ধ এবং এ ধরনের হামলাকে যুদ্ধ-অপরাধ বলা যায়।
এআই বলেছে: নানা সাক্ষ্য-প্রমাণে দেখা গেছে, ইসরাইল আহতদের কাছে চিকিৎসকদের যাতায়াত ও লাশ সরিয়ে নেয়ার কাজেও বাধা দিয়েছে। এআই'র মধ্যপ্রাচ্য শাখা এ বিষয়ে তদন্তের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এটা প্রমাণিত হয়েছে যে ইসরাইলি হামলায় ৬ জন ফিলিস্তিনি ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী ফিলিস্তিনি চিকিৎসক টিমগুলোর ওপর ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলায় ২১ জন ডাক্তার নিহত এবং ৮৫ জন চিকিৎসক, ত্রাণকর্মী ও নার্স আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও ধ্বংস হয়ে গেছে বহু হাসপাতাল। ইসরাইলি বিমান হামলায় ৮ টি হাসপাতাল ও ২০টিরও বেশি ক্লিনিক বা চিকিৎসা-কেন্দ্র ধ্বংস হয়েছে। বোমা হামলার কারণে ৫টি হাসপাতাল তার চিকিৎসা-সেবা পুরোপুরি বন্ধ করতে বাধ্য হয় এবং ৩৪টি ক্লিনিকও অচল হয়ে পড়ে। এ ছাড়াও ইসরাইলি হামলায় ধ্বংস হয়েছে ২০টি অ্যাম্বুলেন্স।
গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ অপরাধ ও মানবতা-বিরোধী অপরাধের ব্যাপকতা নজিরবিহীন হওয়া সত্ত্বেও পাশ্চাত্য এবং তাদের সেবাদাস মুসলিম সরকারগুলো ও এমনকি তাদের নিয়ন্ত্রিত প্রচার মাধ্যমও এইসব বিষয়ে নীরব রয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।