আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, মিথ্যা জন্মদিন পালন করে বেগম জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ করছেন।

 

তিনি বলেন,“বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া জাতীয় শোক দিবসে তার মিথ্যা জন্মদিন পালন এবং জাতির পিতার খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দানের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যার ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত ছিলেন”।

 

হানিফ আজ সকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ৮৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

 

সগঠনের সভাপতি এডভোকেট তারানা হালিম এমপি ’র সভাপতিত্বে সভায় মুল বক্তব্য উপস্থাপন করেন খাদ্যমন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি।

 

জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার পরিচালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ওয়ার্ল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, বিশিষ্ট অভিনেতা ও জোটের সহ-সভাপতি এটিএম শামসুজ্জামান, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহসম্পাদক এবং অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।

 

জাতীয় শোক দিবসে মিথ্যা জন্মদিন পালন না করার জন্য আগেও একাধিক বার বেগম জিয়াকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে মিথ্যা জন্মদিন পালন না করার জন্য আবারো আহবান জানান। 

 

এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, জাতীয় শোক দিবসে মিথ্যা জন্মদিনের কেক কেটে আনন্দ-উল্লাসের মধ্য দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার দানবীয় ও বীভৎস রূপ বেরিয়ে আসে।

 

তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এবং তার স্ত্রীর ক্ষমতার উৎস একই জায়গা এবং বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে প্রমাণিত হয় তারা এ হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়ের প্রতিশোধ গ্রহণ করেছে।