চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের খোন্দা গ্রামে এক গৃহবধু শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার দিবাগত গভীর রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ডার পর স্বামীর উপরে অভিমান করে ঐ গৃহবধু নিজের গায়ে নিজেই কেরোসিন ঢেলে এ ঘটনা ঘটায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিহত গৃহবধু বিনোদপুর ইউনিয়নেরই কামাত গ্রামের মৃত বদিউর রহমানে মেয়ে ও বিনোদপুর ইউনিয়নের খোন্দা গ্রামের আহসান হাবিবের স্ত্রী রিনা বেগম(২০)।

এ ব্যাপারে  ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান জানান, বুধবার রাত ১টার পরে আমাকে ফোন করে জানানো হয় ঘটনাটি। এটি আসলে কি নিয়ে ঘটেছে তা সঠিক ভাবে বলতে পারবো না এবং এটি ওদের পারিবারিক ব্যাপার বলেই ধারণা করছি। মারাত্মকভাবে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় রিনাকে রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিনা বৃহষ্পতিবার সকাল ৬টার দিকে মারা যায়।

অন্যদিকে বিনোদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুল হোসেন বলেন, রিনা যেহেতু নিজেই আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে সেহেতু তার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে হবে আইনগতভাবে কি করা যায়। শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আশিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ও দুপুর পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে মৃত বদিউর রহমানের মেয়ে রিনা বেগমের সাথে একই গ্রামের আহসান হাবীবের সাথে বিয়ের পর থেকেই তাদের সংসারে কলহ লেগেই থাকত। আর সেই কলহের কারণেই বুধবার গভীর রাতে রিনা নিজ শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আগুন লাগার ঘটনাটি জানতে পেরে তাৎক্ষনিক ভাবে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিনা বেগম বৃহস্পতিবার সকালে মারা যায় বলে তার পারিবারিক সূত্র জানায়।

মেয়ের পরিবার সূত্র আরো জানায়, বিয়ের পর থেকেই শশুর বাড়ীর লোকজনের সাথে মেয়ের বনিবনা হত না। প্রায় দিনই তাকে গঞ্জনা সহ্য করতে হত। কিন্তু মেয়ের সুখের আশায় অনেক সময় অনেক তথ্যই গোপন রাখতেন তার পরিবার। এব্যাপারে রিনার শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা মুখ খুলতে রাজি হননি।