খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে বিএনপির কর্মীরা। বুধবার রাত সাড়ে দশটার দিকে কবাখালী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আওয়ামী লীগের চৌদ্দ জন  নেতা কর্মী এবং বিএনপির চার নেতা কর্মী আহত হয় বলে জানা যায়। হামলার পর আহতদের দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সাতজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।  ঘটনার পর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানাযায়, বুধবার সন্ধ্যায় কবাখালী ইউনিয়নের ২ ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মো:আজিজুল (২৫) এবং  কবাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আবদুল হামিদের ছেলে আলমাসের সাথে মারামারি হয়। এতে বিএনপির লোকজন জড়ো হয়ে রাত সাড়ে দশটার দিকে কবাখালী বাজারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

হামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রওশন আলী ভূইয়া, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মো: আলাউদ্দিন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের, কবাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো:জয়নাল আবেদীন, যুগ্ন সম্পাদক মফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো:মোস্তফা মজুমদার, কবাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো: আবদুল আলীম, এন্তাজ আলী, শরিফ মিয়াঁ (১৮), আবদুল করিম (৩৫), মো. ওসমান (৩৫),মো. মোশারফ হোসেন (২৫), মো: হানিফ (৩৫), মো. শহিদুল ইসলাম (২৯)  এবং বিএনপির কবাখালী ইউনিয়ন  যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. দুলাল  ভূইয়া (৩৪), সবুজ (২০) মো.মোশারফ (২১) এবং মরম আলী (২১) এতে আহত হয়।

এ ঘটনার আহতদের দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে জানা যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য যুবলীগ সদস্য ওসমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ এবং সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে সরজমিনে কবাখালী বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়  ঘটনার পর থেকে  বেশকিছু দোকানপাট বন্ধ রয়েছে এবং এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

দীঘিনালা থানা ইনচার্জ মোঃ সাহাদাত হোসেন টিটো  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এ নিউজটি লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।