‘পুথি’ তথ্য প্রযুক্তির জগতে এক অসামান্য পদক্ষেপ : অর্থমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ০৭ আগস্ট, ২০১৪
প্রিন্টঅঅ-অ+
বাংলাভাষায় লিখিত সকল প্রকার কনটেন্ট ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণ করতে, খুঁজে পেতে এবং সম্পাদন করতে টিম ইঞ্জিন লিমিটেড নিয়ে এসেছে বাংলাভাষার প্রথম পূর্ণাঙ্গ অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিকগনাইজার ‘পুথি’।
এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন পুরনো বই, নথি ডিজিটালাইজড করা যাবে। এতে সব ধরণের বই, নথি একেবারে হারিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে। সকল বাংলা ভাষাভাষী ও বাংলা ভাষায় আগ্রহীরা এই সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এই সফটওয়্যারের উদ্বোধন করেন।
টিম ইঞ্জিন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামিরা জুবেরী হিমিকার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রাসেল টি. আহমদে, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সাবেক সভাপতি মোস্তফা জব্বার বক্তব্য দেন।
সফটওয়্যারের উদ্বোধন করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নতুন কোনো আবিষ্কার বাংলাভাষাতেই করা উচিত। কারণ আমারা বাংলাভাষাতেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। এতে মানুষের পক্ষে বুঝতেও সহজ হয়।’
তিনি বলেন, ওসিআর পুঁথি বাংলা ভাষার মানুষের জন্য নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। এটি বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তির জগতে একটি অসামান্য পদক্ষেপ।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বিশ্বর ৩৭তম দেশ হিসেবে আমরা ওসিআর চালু করছি। অথচ আমাদের চেয়ে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত অনেক দেশ এখনো ওসিআর চালু করতে পারেনি। কেবলমাত্র তাই নয়, আমাদের ওসিআর অন্যান্য দেশের ওসিআরের তুলনায় অনেক উন্নতমানের।
তিনি বলেন, আমরা তথ্য প্রযুক্তিতে উন্নতি করতে না পারলে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারবো না। প্রধানমন্ত্রী যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়ে ছিলেন তখন কেউ বিশ্বাস করতে পারেননি আমরা তথ্য প্রযুক্তিতে এতো উন্নতি করতে পারবো।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার সময় মাত্র ১০ থেকে ১৫ লাখের মতো মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতেন। এখন তা চার কোটি ৮০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আমরা এখন প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে গেছি। প্রযুক্তি ছাড়া আমরা এক মিনিটিও চলতে পারি না। ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া এখন মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ওসিআর পুঁথির মাধ্যমে নতুন পুরনো বই, নথি ডিজিটালাইজড করার মাধ্যমে তা হারিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে। বই, নথি, কাগজের স্তুপ থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় কর কোনো তথ্য খুঁজে বের করতে হবে না। ওয়েবে বা কম্পিউটারে সার্চ দিলেই সব তথ্য পাওয়া যাবে।
এছাড়া অনলাইন লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠায় বাংলা ওসিআর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। ই-গভর্নেন্স ও কাগজ ফাইলবিহীন অফিস পরিকল্পনা বাস্তবায়নেও ভূমিকা রাখবে ওসিআর। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে আগের সব ফাইল ডিজিটাল ফরম্যাটে ওয়েব/সার্ভার কিংবা কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে সংরক্ষণ করা যাবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।