কুষ্টিয়ার ডাক্তার কর্তৃক ধর্ষণের শিকার অন্তসত্ত্বা গৃহবধূর আত্মহত্যা
দেবাশীষ দত্ত, কুষ্টিয়া
প্রিন্টঅঅ-অ+
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সম্ভ্রম হারানোর ন্যায় বিচার না পেয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে নাছিমা (২৮) নামের এক অন্তসত্ত্বা গৃহবধু।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে উপজেলার হাসিমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নাছিমা তার শ্বশুরবাড়ির গোয়াল ঘরের ডাবের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত গ্রাম্য ডাক্তার ঝন্টুকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে , গত ৩ আগস্ট শারীরিক অসুস্থ্যতার কারনে নাছিমা পার্শ্ববর্তী ঝন্টু ডাক্তারের কাছে যায়। এ সময় ঝন্টু ডাক্তার তাকে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে তার উপর পাশবিক নির্যাতন করে। পরে নাছিমার জ্ঞান ফিরলে তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে তার স্বামী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের জানায়।
ঝন্টু ডাক্তার এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় অবরুদ্ধ করে রাখে নাছিমার পরিবারের সদস্যদের। পরে গোপনে বিষয়টি থানায় লিখিত অভিযোগ আকারে দিলেও পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝন্টু ডাক্তারের লোকজন কথিত শলিসি বৈঠক ডেকে নাছিমাকে জোড় পূর্বক শালিশনামায় স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এ ঘটনার পর নিজের সম্ভ্রম হারানোর ন্যায় বিচার না পেয়ে মধ্যরাতে গালায় ওড়ানা পেঁচিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় নাছিমা। সকালে কুমারখালী থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ লুৎফর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, অভিযুক্ত ঝন্টু ডাক্তারকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।