অনেক বড় জায়গা থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মানুষের কল্যাণে যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন।
রোববার সন্ধ্যায় ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরে আয়োজিত এক রক্তদান কর্মসূচি ও আলোচনা সভায় তিনি এই নির্দেশনা দেন।
জাতীয় শোকের মাস উপলক্ষে মাস ব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে কৃষক লীগ এ আলোচনা সভা ও রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক বড় বড় জায়গা থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তারপরও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। লাখ শহীদের আত্মত্যাগ বৃথা যায়নি এটাই তার প্রমাণ।
তিনি বলেন, "মহান অর্জনের জন্য মহান ত্যাগের প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু সে ত্যাগ করে গেছেন। আমিও প্রস্তুত আছি। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরাও বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকবে।"
দেশের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "বাংলাদেশের মানুষ আমাদের পাশে আছে বলেই আমরা দেশকে এগিয়ে নিতে পারছি।"
স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র চলছেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, "মাইনাস-টু ফর্মুলা দেখেছি। এছাড়াও অনেকবার আমি মৃত্যুকে সামনে দেখেছি। আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আমার তো এখন আর হারাবার কিছু নেই। বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্খা পূরণে, বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছি।"
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, "বেঈমান বেঈমানই। মীর জাফর তিন মাসের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, বেঈমান মোস্তাকও তিন মাসের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারেনি।"
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সমশের মবিন চৌধুরীর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "মুক্তিযুদ্ধের সময় তার পায়ে গুলি লেগেছিল। বঙ্গবন্ধু জার্মানি পাঠিয়ে তার চিকিৎসা করিয়েছিলেন। অথচ জিয়ার নির্দেশে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলেন এই শমসের মবিনই।"
বঙ্গবন্ধুর ওই খুনীদের আবারও দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলে আলোচনা সভায় জানান প্রধানমন্ত্রী।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।