পঞ্চগড়ে রুপা (১৮) নামে এক কিশোরী পাখি ড্রেস পড়ে ঈদের আনন্দে বান্ধবীদের সাথে ঘুরতে না পারায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।

শুক্রবার রাত ৮টার সময় পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের খালপাড়া গ্রামের সরিফুল ইসলামের কন্যা রুপা (১৮)। বাড়ির নিজ কক্ষে দরজা বন্ধ করে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, রুপার বান্ধবীরা সকলেই ঈদে পাখি ড্রেস কিনেছে দেখে সেও পাখি ড্রেস নেওয়ার জন্য বাব, মা কে বলে। ঈদের আগে পাখি ড্রেসের দাম বেশি থাকায় অসহায় পরিবার মেয়েকে ড্রেসে ঈদের পরে কিনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। ঈদের ৩দিন পেরিয়ে গেলেও অসহায় পরিবারে পাখি ড্রেস কেনার সামর্থ না থাকায় মেয়েকে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করার কথা বলে। এ কথা শুনে রুপা (১৮) এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে জানা যায়।

ঈদ মানে আনন্দ আর ঈদ মানে খুশি! কিন্তু হাজার বছরের ঐতিহ্য হারিয়ে এবারের ঈদ উৎযাপন মেয়েদের ক্ষেত্রে পাখি আর ঝিলিক পড়ার আনন্দে ঈদ উৎযাপন।

সচেতন মহলের প্রশ্ন? যেমনি পরিবার হোক না কেন, পাখি ড্রেস কেনার সামর্থ না থাকলেও যে ভাবে হোক মেয়েকে তাদের কিনে দিতে হয়েছে। আর এমনি কিছু ভারতীয় সংস্কৃতি এ দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যার কারণে ঘটছে বিবাহ বিচ্ছেদ, আত্মহত্যা, এমন কি আত্মহত্যার চেষ্টা। দ্রুত এ সমস্ত ভারতীয় সংস্কৃতি বন্ধ করা না গেলে অদূরে আরো হারাতে হবে তরতাজা, আদরের ও স্নেহের সন্তানকে।