সৌদি আরব, জর্দান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ আরব দেশগুলোর একটি নতুন কোয়ালিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছে মিশর, আর এই কোয়ালিশন হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইসরায়েলকে সমর্থন দিচ্ছে।বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দ্য ডন।দুই বছর আগে গাজায় হামলা চালানোর সময় প্রতিবেশী বৈরি আরব দেশগুলো হামলা বন্ধ করার জন্য চারপাশ থেকে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। ওই সময় মিশরের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ইসলামপন্থী মুসলিম ব্রাদারহুডের মোহাম্মদ মুরসি।ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টিতে তিনিই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু গত বছর মিশরের সেনাবাহিনী মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। মিশরের প্রেসিডেন্ট হন সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান আব্দেল ফাত্তা আল সিসি।সিসি প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় ইসরায়েলের গাজা অভিযানে তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও রক্তপাত থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু মুরসি থাকলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারতো বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।কিন্তু এখন “আরব রাষ্ট্রগুলোর রাজনৈতিক ইসলাম ভীতি এত বেশি জোরালো হয়ে উঠেছে যে এটি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেননিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অপছন্দ করার বিষয়টিকেও পেছনে ঠেলে দিয়েছে,” বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ অ্যারন ডেভিড মিলার।“আমি এ রকম কোনো পরিস্থিতি আগে দেখিনি, যেখানে এতগুলো আরব রাষ্ট্র গাজার হত্যালীলা ও ধ্বংসযজ্ঞকে এবং হামাসের ওপর আঘাতকে পরোক্ষভাবে সমর্থন করছে,” বলেছেন মিলার।“তাদের নীরবতা চোখে পড়ার মতো,” প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেছেন তিনি।