- হোম
- >
- চিত্র-বিচিত্র
- >
- মচমচে সুস্বাদু বিড়াল ভাজা!
মচমচে সুস্বাদু বিড়াল ভাজা!
ঠাণ্ডা বিয়ারের সাথে আলু ভাজা, চিকেন ফ্রাই – এ ধরনের ভাজা পোড়া চলতেই পারে। কিন্তু পানীয়ের সাথে বিড়ালের মাংস যদি থাকে কেমন হবে ব্যাপারটা? ভিয়েতনামে কিন্তু এটা কোনো ব্যাপার না।
তবে সম্প্রতি সেখানে বাঘের এই মাসিকে নিয়ে দেখা দিয়েছে বিপত্তি। আনুষ্ঠানিকভাবে বিড়াল খাওয়া ভিয়েতনামে নিষিদ্ধ হলেও রেস্তোরাঁয় অবিরাম চলছে বিড়াল রান্না। তাই যারা বিড়াল পোষেন তারা আছেন আতঙ্কে। হ্যানয়ে একটি রেস্তোরাঁতে রসুন দিয়ে বিড়াল ভেজে দেয়া হচ্ছে, যা নাকি দারুণ সুস্বাদু ও মচমচে। রেস্তোরাঁর ম্যানেজার বললেন, ‘‘অনেক মানুষ বিড়ালের মাংস পছন্দ করেন। তারা এখানে এসেই বিড়ালের মাংসের জন্য আবদার করেন।''
রাজধানীর ইঁদুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিড়াল নিধনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এরপরও হ্যানয়ের বহু রেস্তোরাঁয় চলছে বিড়ালের মাংস ভক্ষণ। রাস্তায় রাস্তায় এখন বিড়াল দেখাই যায় না। আর বিড়াল মালিকরাও তাদের বিড়ালকে বন্দি করে রাখছেন ঘরে, তবে তারপরও শান্তি নেই। চোররা যদি চুরি করে নিয়ে যায় সেই ভয়ও আছে।
চাহিদা মেটাতে থাইল্যান্ড ও লাওস থেকে চোরাপথে আমদানি করা হচ্ছে বিড়াল। ব্যস্ততম দিনে রেস্তোরাঁটি ১০০ ক্রেতাকে বিড়ালের মাংস পরিবেশন করে থাকে। ঐ রেস্তোঁরার এক ক্রেতা জানালেন, ‘‘আমরা জানি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে বিড়ালের মাংস খাওয়া হয় না। কিন্তু এখানে আমরা খাই।'' তিনি যখন একথা বলছিলেন তখন তার হাতে ছিল বিড়ালের মাংসের মচমচে একটি টুকরা।
হ্যানয়ের এক পশু চিকিৎসক সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানায়, ‘‘একসময় দেশটি খুব গরিব ছিল এবং দীর্ঘ যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে আমাদের। বেঁচে থাকার জন্য যা পাওয়া যেত তাই খাওয়া হত। কুকুর, বিড়াল, পোকামাকড়, ইঁদুর কোনো কিছুই তখন বাদ যায়নি। পরে এটা একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল।'' তবে কেউই নিজের পোষা প্রাণীটিকে মেরে খায় না বলে জানান তিনি। বলেন, রেস্তোরাঁয় যারা বিড়াল রান্না করে বেশিরভাগই অবৈধ পথে বা চুরি করে নিয়ে আসা।
আকার ও স্বাস্থ্য ভেদে এবং কিভাবে রান্না করা হয় তার উপর নির্ভর করে এক একটি বিড়ালের দাম গড়ে ৫০ থেকে ৭০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।