জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছে। তাই তাদের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। যে সরকার সুশাসন দিতে পারে না, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে পারে না, তাকে গণতান্ত্রিক বলা যায় না।

তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, এ সরকার লুটপাটকারী। ক্ষমতাসীনরা সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। দেশের মানুষ আর এই সরকারকে চায় না।

আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে শরীয়তপুর জেলা জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এরশাদ এ মন্তব্য করেন।

এরশাদ বলেন, “দেশে নিরাপত্তা নেই। কে কখন কাকে তুলে নিয়ে যাবে, কেউ জানে না। কত মানুষ নিরুদ্দেশ। তারা ফিরে আসবে কি না, কেউ জানে না। আমরা এর পরিবর্তন চাই।“সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করব, রাজপথে নামব। সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরব।”

এরশাদ বলেন, “বিএনপি আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। তাদের সহিংসতার জন্য আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠেছে। আমরা পেট্রোল দিয়ে মানুষ মারব না। জ্বালাও-পোড়াও করব না।”

এরশাদ আরও বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছিল শুধু ঢাকায়। আমি চাইলে ক্ষমতায় থাকতে পারতাম। কিন্তু মানুষ মেরে ক্ষমতায় থাকতে চাইনি। আমি তখন ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা কাজ করেছি মানুষের জন্য। সেই লোকগুলো যখন অন্যের প্ররোচনায় আমার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে, তখন আমি দেখতে চেয়েছি, আমি ছেড়ে দিলে তারা কেমন থাকে। প্রমাণিত হয়েছে তারা ভালো নেই।’

এরশাদ বলেন, দেশের অগ্রগতি আওয়ামী লীগ বা বিএনপি সরকার কিছু করেনি। বেসরকারি খাতের অগ্রগতির কারণে দেশ এগিয়েছে। এ সময় তিনি নিজেকে ‘ফাদার অব প্রাইভেট সেক্টর’ বলেও দাবি করেন।

এরশাদ আরও বলেন, তিনি সাতটি বেসরকারি ব্যাংক ও ১৮টি বিমা কোম্পানি অনুমোদন দিয়েছিলেন। দলীয় কাউকে কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। সে কারণে ৬ শতাংশ জিডিপি অর্জিত হয়েছে।

আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি কোনো দলের ওপরই জনগণের আস্থা আর নেই দাবি করে জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করতে দলের নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান চেয়ারম্যান।

শরীয়তপুর জেলার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এরশাদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, এরশাদের রাজনৈতিক ও প্রেসসচিব সুনীল শুভ রায়।