চিকিৎসকের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে চরম স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র জরুরী বিভাগ এবং শহরের একটি ক্লিনিক ভাংচুর করেছে নিহত রুগীর আত্বীয় স্বজনরা। এ সময় জরুরী বিভাগে দায়িত্বে থাকা মাহমুদুর রহমান (৩২) নামের একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার কে পিটিয়ে আহত করে জরুরী বিভাগ ব্যাপক ভাংচুর করা হয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটানো হয়। এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ একজন কে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।জানা গেছে, ভেড়ামারা উপজেলার বৃত্তিপাড়া গ্রামের মৃত হারুন আলী’র পুত্র শাহীন’র (৩০) ষ্টোক জনিত সমস্যা হলে রুগীর স্বজনরা বৃহস্পতিবার বিকেলে ভেড়ামারা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র জরুরী বিভাগে শাহীন কে নিয়ে যান। এ সময় জরুরী বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক আমিরুল ইসলাম হাসপাতালে ছিলেন না। তিনি তার মালিকাধীন প্রাইভেট ‘প্রতিক্ষা নার্সিং ক্লিনিকে’ ছিলেন।

মুর্মুষ রোগীর নাড়ি পরীক্ষা করেন জরুরী বিভাগের সহকারী চিকিৎসক উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মাহমুদুর রহমান। এ সময় তিনি দেখতে পান রুগীটি মারা গেছে। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে নিহত রুগীর মামা লাল্টু’র নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের সংঘবদ্ধ স্বজনরা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ব্যাপক তাণ্ডব চালান।

এ সময় জরুরী বিভাগে থাকা মূল্যবান আসবাবপত্র, টিভি, জানালা এবং চিকিৎসার সরঞ্জাম ভাংচুর করা হয়। পরে জরুরী বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক আমিরুল ইসলাম কে খুঁজতে শহরস্থ তার ক্লিনিকে যান। অবস্থা বেগতিক আঁচ করতে পেরে ডাক্তার ক্লিনিক ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা ক্লিনিকে ব্যাপক ভাংচুর করে। এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানায় মামলা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ভেড়ামারা থানার অভিসার ইনচার্জ মামুন খাঁন জানিয়েছেন, ক্ষিপ্ত হয়ে নিহত রোগীর স্বজনরাই হাসপাতাল এবং ক্লিনিক ভাংচুর করেছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি লাল্টু কে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।