চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের পলাশপাড়ার কাজি নাসির উদ্দীনসহ তিন সহকারী কাজি নাজমুল হক হিরা, আকরাম হোসেন ও আব্দুল হালিমেকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার শিশু ও নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিজ্ঞ বিচারকের আদেশে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টার দিকে তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। একই সাথে এদের বিরুদ্ধে প্রতারণার বিষয়ে নিয়মিত মামলা রুজুর জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের শিপন আলীর মেয়ে শিরিনা খাতুনের সাথে একই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে হাবিবার রহমান বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুকের দাবিতে হাবিবুর রহমান ও তার পিতা মাতাসহ নিকটজনেরা গৃহবধু শিরিনা খাতুনের উপর নির্যাতন করতে থাকে। এ অভিযোগ তুলে শিরিনা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি চুয়াডাঙ্গার শিশু ও নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।

হাবিবার রহমান আদালতে শিরিনা খাতুনের সাথে বিয়ে অস্বীকার করে। ফলে শিরিনা খাতুন বিয়ের প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র আদালতে উপস্থাপন করেন। তাতে কাজী নাসির উদ্দীনের নামসহ সিল সাপ্পড় রয়েছে। কাবিন নামায় নাজমুল হক হিরা হাতের লেখা।

এরই এক পর্যায়ে আদালত কাজি নাসির উদ্দীনকে আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেন। আদালতে হাজির হয়ে কাজি নাসির জানান তিনি বিয়ে পড়াননি। আমার নাম ব্যবহার করে বিয়ে পড়িয়েছে আরামপাড়ার মৃত দাউদ হোসেনের ছেলে নাজমুল হক হিরা।

এ রকম আর কে কে করে আদালতের জিজ্ঞাসাবাদে নাসির উদ্দীন কাজি জানান, গুলশানপাড়ার নূর ইসলামের ছেলে আকরাম হোসেন ও পলাশপাড়ার সুবাদ আলীর ছেলে আব্দুল হালিম আমার নাম সিল ব্যবহার করে বিয়ে পড়ায়। এ সময় আদালত বলেন তা হলে ওদের বিরুদ্ধে আইনানগ ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেনো? দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিন। এ নির্দেশনা দেয়ার পরও কাজি নাসির উদ্দীন যেমন হিরা, হালিম ও আকরামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি, তেমনই বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হয়ে হিরা, আকরাম ও হালিম অসঙ্গতিপূর্ণ বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

কাজি নাসিরের কথায়ও অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল কাজি নাসির উদ্দীন, হিরা, আকরাম ও আব্দুল হালিমকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। একই সাথে এদের বিরুদ্ধে প্রতারণাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিয়মিত মামলা রুজুর জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আদেশ দেন।